শুক্রবার কাঠমাণ্ডুতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রচণ্ড বলেন, ‘নিজের ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন ওলি। তাঁর নির্দেশেই নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির কিছু লোক নির্বাচন কমিশনে সিপিএন-ইউএমএল নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন করিয়েছে। এর থেকে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে নিজের গদি ধরে রাখতে কতটা নাছোড়বান্দা ওলি। আমাদের মধ্যে যখন বৈঠক চলছে তখন দলের আরেকজন চেয়ারম্যানের এই ধরনের কাণ্ডকারখানা কখনই মেনে নেওয়া যায় না। ওলির এই মানসিকতার জন্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গেও গন্ডগোল তৈরি হয়েছে।’
দলের মধ্যে তৈরি হওয়া সমস্যা মেটাতে ওলির সঙ্গে আটটি বৈঠক করেছেন প্রচণ্ড। তারপরও নেপালের প্রধানমন্ত্রী নিজের অবস্থানে অনঢ় রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন পুষ্পকুমার দহল। এপ্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের দলের নীতি অনুযায়ী একজন ব্যক্তি একটি পদেই আসীন থাকতে পারেন। কিন্তু, ওলি প্রধানমন্ত্রী পদের সঙ্গে সঙ্গে পার্টির চেয়ারম্যানের পোস্টটিও ধরে রাখতে চান। তাঁকে এই বিষয়ে অনেক বুঝিয়েও কোনও কাজ হয়নি। উলটে নিজের সমর্থনে মুখ খোলার জন্য দলের কর্মী ও পড়ুয়াদের উসকানি দিচ্ছেন। দেশব্যাপী বিক্ষোভ করার ছক কষছেন। আমরা যখন দলের মধ্যেই বিষয়টির মীমাংসা করতে চাইছি উনি তখন দেশব্যাপী আন্দোলন করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু, আমি কোনওভাবেই তাঁর এই উদ্দেশ্য সফল হতে দেব না। দলের ঐক্য বজায় রেখে করোনা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বিরুদ্বে লড়াইয়ে দেশবাসীকে সংঘবদ্ধ করব।’