কয়েকদিন আগেই নতুন স্থল সীমান্ত আইন পাশ হয়েছিল চিনে। সেই আইনের সমালোচনায় মুখর ভারত। আইনটিকে একতরফা বলে আখ্যা দিয়ে সরকারি ভাবে মুখ খুলল ভারতের বিদেশমন্ত্রক। এই আইন লাগু হলে দ্বি-পাক্ষিক চুক্তির উপর প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে ভারতের তরফে। ভারতের তরফে আশঙ্কা করা হচ্ছে, নতুন এই আইন ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়ে দিলেন যে সীমান্ত বিবাদ মেটাতে আলোচনা চলবে ভারত-চিনের।
রাজনাথ সিং বুধবার বলেন, ‘লাদাখে সীমান্ত সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য চিনের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত থাকবে। তবে আমাদের আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য চরম আবহাওয়া এবং প্রতিকূল শক্তির মোকাবিলা করে আমাদের সৈন্যদের সেরা অস্ত্র, সরঞ্জাম এবং পোশাক নিশ্চিত করা আমাদের জাতীয় দায়িত্ব।
গত ২৩ অক্টোবর নয়া স্থল আইন পাশ করে চিন। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তা লাগু হওয়ার কথা। এই আইনে সীমান্ত এলাকায় জেলা পুনর্গঠনের কথা বলা হয়েছে। ভারত এবং চিনের মধ্যে এখনও সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়গুলির সমাধান হয়নি। এই আবহে এই আইন লাগু হলে জটিলতা আরও বাড়বে দুই দেশের মধ্যে।
এই বিষয়ে গতকাল বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘এই আইন পাশ করানো চিনের একতরফা সিদ্ধান্ত। ভারতের তরফ থেকে আশা করা হচ্ছে যে, চিন এই আইনের অজুহাতে এমন কোনও পদক্ষেপ নেবে না, যাতে ভারত-চিন সীমান্তে পরিস্থিতি বদলে যায়।’