মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকে এনডিএ-র আসন রফা কার্যত চূড়ান্ত করে ফেলল বিজেপি। কর্নাটকে শরিক জেডিএস-কে তাদের দাবি মতো তিনটি আসন বিজেপি ছেড়ে দিয়েছে। অন্য দিকে, মহারাষ্ট্রে রাজ ঠাকরের সঙ্গে জোট প্রায় চূড়ান্ত বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফডণবীস।
কর্নাটকে জেডিএসের সঙ্গে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে জোট নিয়ে আলোচনা চলেছে বিজেপির। গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার এই দল এনডিএ-তে যোগ দেয়। কর্নাটকের আঠাশটি আসনের মধ্যে চারটি আসনে লড়ার দাবি জানিয়েছিল জেডিএস। ওই চারটি আসন হল মাণ্ডয়া, হাসান, কোলার ও বেঙ্গালরু (গ্রামীণ)। এর মধ্যে প্রথম দু’টি আসন ছেড়ে দিতে বিজেপির কোনও সমস্যা ছিল না। বেঙ্গালুরু (গ্রামীণ) আসনটিও জেডিএস প্রার্থীকে ছেড়ে দিতে রাজি হয় বিজেপি। কিন্তু শর্ত রাখা হয়, ওই প্রার্থীকে বিজেপির টিকিটে লড়তে হবে। তা মেনে নেন জেডিএস নেতৃত্ব। ঠিক হয়েছে, ওই আসন থেকে লড়বেন দেবগৌড়ার জামাই সি এন মঞ্জুনাথ।
সমস্যা দেখা যায় কোলার আসনটি ঘিরে। কারণ গত বার কর্নাটকের ২৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে যে ২৫টি আসনে বিজেপি জিতেছিল, তার মধ্যে কোলারও ছিল। ফলে ওই আসনটি গোড়ায় জেডিএস-কে ছাড়তে রাজি ছিলেন না রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু দলীয় ভোটব্যাঙ্ক ভোক্কালিগা সম্প্রদায় অধ্যুষিত কোলারে জেডিএস প্রার্থীর জয়ের ব্যাপারেই আত্মবিশ্বাসী ছিল দেবগৌড়ার দল। তাই কোলার আসনটি ছাড়তে রাজি ছিল না তারা। এই অনড় মনোভাব দেখে শেষে এই আসনটি তাদেরই ছেড়ে দেয় বিজেপি।
মহারাষ্ট্রে এনডিএ-তে যোগদানের বিষয়ে কার্যত সবুজ সঙ্কেতই দিয়ে রেখেছেন এমএনএস শীর্ষ নেতা রাজ ঠাকরে। বিজেপির কাছে রাজ তিনটি আসন চাইলেও গোড়া থেকেই এমএনএস-কে একটি আসন ছাড়তে রাজি ছিল বিজেপি। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, রাজের দলকে মুম্বই দক্ষিণ আসনটি দেবেন অমিত শাহেরা। সে কথা গত কাল রাজকে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেন শাহ। আজ মুম্বই থেকে দেবেন্দ্র ফডণবীস জানান, ‘‘দিল্লিতে রাজ ঠাকরে ও অমিত শাহের আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে। পরবর্তী ধাপে খুব দ্রুত জোটের বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা করা হবে।’’