আমফানের একবছর পার হতেই ফের ধেয়ে আসছে আরেক ঘূর্ণিঝড়, ইয়াস। তারই মোকাবিলার প্রস্তুতিতে জেলা প্রশাসনিক কর্তা-কর্মী থেকে শুরু করে দেশের একাধিক বাহিনী। একদিকে সমুদ্রে নজরদারি চালাচ্ছে নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনী। অন্যদিকে, স্থলের দায়িত্বে রয়েছে সেনা, এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ।ঘূর্ণিঝড় আসার আগে প্রস্তুত এনডিআরএফ। বাংলায় মোতায়েন করা হচ্ছে ৩২টি দলকে। এর মধ্যে কলকাতা পুরসভার সঙ্গে কাজ করবে ১০টি দল। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় থাকছে এনডিআরএফের ৯টা দল। উত্তর ২৪ পরগনায় ৭, পূর্ব মেদিনীপুরে ৫ এবং হাওড়ায় একটি দলকে মোতায়েন করা হবে। ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে এনডিআরএফের ২২টা দল। খুব তাড়াতাড়ি আরও ১০টা দলকে এলাকায় পাঠানো হচ্ছে।এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় ওড়িশা উপকূলে ইতিমধ্যেই ২ কলাম সেনা ও ইঞ্জিনিয়ার টাস্ক ফোর্সের ২টি দল মোতায়েন করা হয়েছে। বাংলার জন্যও ৮ কলাম সেনা ও ইঞ্জিনিয়ার টাস্ক ফোর্সের একটি দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৪টি ডাইভিং টিম-সহ ৮টি উদ্ধারকারী দলকে। ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম, খাবার ও প্রয়োজনীয় রসদ নিয়ে প্রস্তুত নৌবাহিনীর ৪টি জাহাজ।বিশাখাপত্তনমে আইএনএস ডেগা ও চেন্নাইয়ের কাছে আইএনএস রাজালি থেকে আকাশপথে নজরদারি চালিয়ে দুর্গত এলাকায় গিয়ে উদ্ধার ও ত্রাণ সামগ্রী ফেলার কাজ চালানো হবে। দ্রুত উদ্ধারের জন্য প্রস্তুত নৌবাহিনীর ৯টি বিমান ও ২৫টি হেলিকপ্টার। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বাংলা ও ওড়িশা উপকূলে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৪টি ডাইভিং টিম-সহ ৮টি উদ্ধারকারী দল।কলকাতা ও পোর্ট ব্লেয়ারের জন্য পটনা ও বারাণসী থেকে আনা হয়েছে ৩৩৪ জন এনডিআরএফ-এর জওয়ানকে। আকাশপথে নজরদারি চালাচ্ছে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর ডর্নিয়ার বিমান। কলকাতায় মোতায়েন থাকবে, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১০টি, সিভিল ডিফেন্সের ১০টি, বন দফতরের ১৬টি, এবং কলকাতা পুলিশের ২২টি দল। হলদিয়ায় মোতায়েন রয়েছে ২৫ সদস্যের এনডিআরএফ-এর টিম। এনডিআরএফ-এর তরফ থেকেও বিভিন্ন গ্রামে মাইকে প্রচার করা হচ্ছে। সাগরের কচুবেড়িয়ায়, নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়ার জন্য, মাইকে সতর্ক করছে এনডিআরএফ।
2021-05-24