ডার্ট মিশনের আওতায় ইচ্ছে করে মহাকাশযান দিয়ে গ্রহাণুকে ধাক্কা দিয়েছিল নাসা। সেটা প্রায় একমাস আগের ঘটনা। এই ‘ধাক্কা’র মূল লক্ষ্য ছিল সেই গ্রহাণুর গতিপথ বদল করা। আর সেই লক্ষ্যে সফল হয়েছে নাসা। গতকালই নিজেদের ডার্ট মিশনের সাফল্যের ঘোষণা করে নাসা। জানিয়ে দেয়, মহাকাশযানের ধাক্কার ফলে গ্রহাণুর গতিপথ বদল হয়েছে। ফলাফল ঘোষণার সময় নাসার প্রধান বিল নেলসন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের গ্রহের প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে এই সাফল্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত এবং গোটা মানবতার জন্যও এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।”
পৃথিবীর দিকে কোনও গ্রহাণু ছুটে এলে তাকে কীভাবে প্রতিহত করা যাবে? নাসার এই অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল এই প্রশ্নের জবাব খোঁজা। এর জন্য প্রায় ১.১ কোটি কিলোমিটার দূরে থাকা ডিমরফস নামের এক গ্রহাণুকে ধাক্কা মেরে তার গতিপথ বদলের চেষ্টা করে নাসা। এই লক্ষ্যে গত বছর নভেম্বরে ডার্ট মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করা হয়। ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যানডেনবার্গ এয়ার ফোর্স বেস থেকে স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটে যাত্রা শুরু করে ডার্ট। এরপর গতমাসে মহাকাশযানটি সেই গ্রহাণুকে ধাক্কা মারে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর মহাকাশযানটি ২০ হাজার কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে ১৬০ মিটার প্রশস্ত ডিমরফসে সরাসরি ধাক্কা মারে। নাসা আসলে দেখতে চাইছিল, এভাবে মহাকাশযান দিয়ে ‘ধাক্কা মেরে’ কোনও গ্রহাণুর গতিপথ বদলে দেওয়া যায় কিনা। ডিমরফস নামে এই গ্রহাণুটি আসলে একটি বড় গ্রহাণুকে কেন্দ্র করে প্রদক্ষিণ করছে। তার নাম ডিডিমস। অর্থাৎ, অনেকটা যেন ডিডিমসের চাঁদ ডিমরফস। এই ধাক্কা মারার মাধ্যমে ডিমরফসের কক্ষপথ সামান্য বদলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল নাসা। এবং সেই প্রচেষ্টায় সফল হয়েছে নাসা।