বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে বসিরহাট থেকে নিয়ে আসা হল কলকাতায়। বসিরহাটের হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা হয়েছে। তার পরেই অ্যাম্বুল্যান্স রওনা দেয় কলকাতার পথে। রাস্তায় তাঁকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
টাকি থেকে পুলিশের গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল সুকান্তকে। টাকিতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিজেপির তরফে দাবি, সুকান্ত সংজ্ঞা হারিয়েছিলেন। বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল তাঁকে। সেখান থেকে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতালে পৌঁছনোর পরে সুকান্তকে গাড়িতেই অক্সিজেন মাস্ক পরিয়ে দেওয়া হয়। তার পর স্ট্রেচারে করে তাঁকে হাসপাতালের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছিল, সুকান্তের শারীরিক পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেই তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সেই মতো প্রাথমিক চিকিৎসার পরেই কলকাতার পথে অসুস্থ সুকান্ত।
বিজেপি কর্মীরা জানান, দীর্ঘ ক্ষণ সুকান্ত অচেতন অবস্থায় ছিলেন। হাসপাতালে তাঁকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়। দলের জনৈক কর্মী হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বলেন, ‘‘ওঁর (পড়ুন সুকান্তের) অবস্থা ভাল নয়। তবে এখন কিছুটা নিশ্বাস নিতে পারছেন।’’
টাকিতে ইছামতীর তীরে সরস্বতী পুজোয় বসেছিলেন সুকান্ত। তার পর পুলিশের সঙ্গে তাঁর ধস্তাধস্তি হয়। পুলিশের গাড়ির বনেটে উঠে পড়েছিলেন সুকান্ত। সেখান থেকে ধস্তাধস্তির মাঝে তাঁকে কোলে করে নামিয়ে আনা হয়। নিরাপত্তারক্ষীরা সুকান্তকে নামানোর পরেই তিনি বনেটের উপরে শুয়ে পড়েন।
বসিরহাট এসপি অফিস ঘেরাও অভিযানে গিয়েছিলেন সুকান্ত। সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে বিজেপির অভিযানের নেতৃত্ব দেন তিনি। সন্দেশখালির ঘটনায় বিজেপির সাত জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার রাতভর সুকান্ত ধর্না দেন। রাতে তাঁকে আটকও করা হয়েছিল। তবে কিছু ক্ষণের মধ্যেই পুলিশ সুকান্তকে ছেড়ে দেয়। তার পর বুধবার সকাল থেকে পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে পড়ে।
টাকিতে সরস্বতী পুজো করার পর হোটেল থেকে বেরিয়ে সন্দেশখালি রওনা দেন সুকান্তরা। যাওয়ার পথে তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। তারা জানায়, সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তাই সেখানে জমায়েত করা যাবে না। অন্য দিকে সুকান্ত জানান, তিনি সন্দেশখালিতে যাবেনই। এই নিয়ে বচসায় উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের গাড়ির বনেটে উঠে পড়েন বিজেপি নেতা। তার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সুকান্তের অসুস্থতার কারণে বিজেপির সন্দেশখালি অভিযান আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।