ইঞ্জিনিংয়ারিং ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তোলপাড় দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর। স্থানীয় মানুষজনের দাবি, চারদিন নিখোঁজ ছিল ওই পড়ুয়া। পুলিস গুরুত্ব দিয়ে খোঁজই করেনি। শেষপর্যন্ত এলাকারই একটি পুকুরে ভেসে উঠল ওই পড়ুয়ার মৃতদেহ। তারপরই তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল এলাকায়।
মৃত ওই ছাত্রের বাড়ি নরেন্দ্রপুরের মহামায়াতলায়। নাম অপ্রতীম ঢালি। পরিবার সূত্রে খবর, চারদিন আগে অপ্রতীম বন্ধুদের সঙ্গে একটি বিয়েবাড়ি গিয়েছিল। তারপর থেকে সে আর বাড়ি ফেরেনি। এনিয়ে নরেন্দ্রপুর থানায় নিখোঁজ ডাইরি করা হয়। কিন্তু তার পর থেকে কোনও অপ্রতীমের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। পরিবারের দাবি, পুলিস গুরুত্ব দিয়ে খোঁজখবর করেনি। আজ সকালে ঢালিপাড়ায় অপ্রতীমের মৃতদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারপরই পুলিসে খবর দেওয়া হয়। পুলিসে এলে তাদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মানুষজন। শুরু হয়ে যায় তুলকালাম। পরে বিশাল পুলিস বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
স্থানীয় মানুষজনের দাবি, চারদিন আগে অপ্রতীম নিখোঁজ হয়েছে। নিয়ম অনুযয়াী ডাইরিও করা হয়েছে। কিন্তু পুলিস খোঁজখবর করতে পারেনি। সামান্যটুকু আশার খবরও পরিবারকে দিতে পারেনি। এদিন পুলিস এলে তাদের ঘিরে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। এলাকায় ভালো ছেলে বলে পরিচিত ছিল অপ্রতীম। তার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মানুষজন। তাদের দাবি পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে ওই ছাত্রকে।
এদিকে, নরেন্দ্রপুর থানা সূত্রে খবর, মৃত ওই ছাত্রের দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটলা তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। কাদের সঙ্গে অপ্রতীম বিয়েবাড়ি গিয়েছিল তা খোঁজখবর করে দেখা হচ্ছে। পরিবারের এক ব্যক্তির বক্তব্য, যে পোশাক পরে অপ্রতীম বেরিয়েছিল সেই পোশাকেই তার দেহ উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজ হওয়ার পর বারবার পুলিসের কাছে গিয়ে অপ্রতীমের ফোনের কললিস্ট বের করতে বলা হয়েছিল। কার সঙ্গে তার কথা হয়েছিল তা জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওরা কিছু করেনি। এখন বলছে পুরো বিষয়টা ছেলের মতো দেখছি। পরিবারের আরও দাবি, ওকে আটকে রাখা হয়েছিল, যখন দেখেছে থানা পুলিস হয়েছে, এডিজির কাছ পর্যন্ত খবর গিয়েছে তাখন ওকে মেরে ফেলে দিয়েছে।