আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উপলক্ষে দেশজুড়ে ৪৭৫টি বন্দে ভারত ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তারই অঙ্গ হিসাবে শুক্রবার হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে বন্দে ভারত যাত্রার সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি যে সব প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করা হয়েছে সেগুলি শেষ করার জন্য প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হবে বলেও জানান মোদি। পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘স্বাধীনতার প্রথম ৭০ বছরে দেশে ২০ হাজার রুট কিলোমিটার রেল লাইনে বৈদ্যুতিকীকরণের কাজ হয়েছে। ২০১৪ সালের পর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার রুট কিলোমিটারের বেশি। গত ৭-৮ বছরে দু’ডজনের বেশি শহরে মেট্রো পরিষেবার প্রসার ঘটেছে। মেট্রো রেল ব্যবস্থা ভারতের গতি এবং উন্নয়নের প্রতীক।’’
কলকাতার হেস্টিংসে জাতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠকেও মোদি ভারচুয়ালি হাজির ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। ছিলেন একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ভূপেন্দ্র যাদব, সর্বানন্দ সোনওয়াল, জয়কিষেণ রেড্ডি, রাজকুমার সিং প্রমুখ। মোদি এদিন জানান, দেশের জলশক্তিকে আরও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গের জন্য ২৫টির বেশি নিকাশি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১১টি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। সাতটি প্রকল্পের কাজ শেষ হচ্ছে। শুরু হচ্ছে ১,৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচটি নতুন প্রকল্প।’’
আদিগঙ্গাকে পরিচ্ছন্ন করে তোলার জন্য পরিকাঠামো বাবদ ৬০০ কোটি টাকা ব্যয় করার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। জানান, নদীগুলিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি সেগুলি যাতে আর দূষিত না হয় তার জন্য বড় বড় অত্যাধুনিক সোয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘দেশজুড়ে ১০০টিরও বেশি জলপথকে সংস্কার করা হচ্ছে। অত্যাধুনিক ক্রুজ পরিষেবার সূচনা হচ্ছে। আগামী ১৩ জানুয়ারি কাশী থেকে বাংলাদেশ হয়ে ডিব্রুগড় পর্যন্ত ৩,২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি নৌ পরিবহণ শুরু হবে। যা একটি উদাহরণ তৈরি করবে।’’
ভ্রমণপিপাসু বাঙালিদের প্রশংসাও করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “বাংলার জনগণ পর্যটন ক্ষেত্রেও ‘দেশ প্রথম’ ভাবনা অনুসরণ করে চলেছেন।” প্রধানমন্ত্রীর উপলব্ধি, ‘‘সারা বিশ্ব অনেক আশা নিয়ে ভারতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। এই আস্থা বজায় রাখার জন্য প্রত্যেক ভারতবাসীকে তাঁর সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে।”