নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পর খুন করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল দেহ। সেই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে গৃহশিক্ষককে। আদালতে হাজির করানোর পর পুলিশ নিজেদের হেফাজতে পেয়েছে ওই গৃহশিক্ষককে। এই ঘটনা মুর্শিদাবাদের কান্দির।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার অভিযুক্তকে হাজির করানো হয় কান্দি মহকুমা আদালতে। কান্দি মহকুমা আদালতের বিচারক অভিযুক্তকে পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে অভিযুক্তের কাছে পড়তে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী। এর পর থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না ওই নাবালিকার। সপ্তাহ খানেক পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শক্তিপুর থানার বাবলা নদীতে ওই স্কুল ছাত্রীর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ, গৃহশিক্ষক এবং তাঁর জনা কয়েক বন্ধু মিলে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করেছেন। এর পর প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ নদীর জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয় বলেও ছাত্রীর আত্মীয়দের অভিযোগ। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে কান্দি থানার পুলিশ গ্রেফতার করে ওই গৃহশিক্ষককে।
নিহত নাবালিকার ঠাকুরমার অভিযোগ, ‘‘নাতনিকে বহু দিন ধরে ভালবাসত ওর গৃহশিক্ষক। সে-ই এই ঘটনার সব কিছু জানে। পুলিশ তদন্ত করলেই সব প্রকাশ্যে আসবে। আমাদের ধারণা গৃহশিক্ষক এবং তার বন্ধুরা মিলে আমার নাতনির উপর অত্যাচার চালিয়ে খুন করেছে। আমরা এর বিচার চাই।’’
কান্দি মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী শুভ্রকুমার মিশ্র বলেন, ‘‘ছাত্রীর ঠাকুমা ভরতপুর থানায় অভিযুক্তের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তার ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছেন অভিযুক্ত। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করেছিলাম। মাননীয় বিচারপতি তাঁকে ৫ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।’’ মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেন, ‘‘অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত চলছে।’’