রাজ্যের তরফে কেন্দ্রীয় দলকে (Nabanna to Central Team) ইয়াসের (Yaas in Bengal) ক্ষতিপূরণের টাকা হিসেবে ২১ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির হিসাব দেওয়া হল বুধবারের বৈঠকে। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী (H. K. Dwivedi) এদিন প্রাথমিক ভাবে এই ক্ষয়ক্ষতির টাকা জানান সেন্ট্রাল টিমকে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। যদিও দুয়ারে ত্রাণ চলছে বলে লিখিতভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের টাকা জানানো হয়নি কেন্দ্রীয় দলকে। দুয়ারে ত্রাণ শেষ হয়ে যাবার পরেই চূড়ান্তভাবে দাবিপত্র দেওয়া হবে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। মুখ্যমন্ত্রী নিজে প্রধানমন্ত্রীকে কুড়ি হাজার কোটি টাকার হিসেব দিয়েছিলেন।
ঠিক এক বছর তিন দিন পরে গত ৭ জুন, রবিবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বিধ্বস্ত রাজ্যের তিন জেলার অবস্থা সরেজমিনে দেখতে এসেছে কেন্দ্রীয় দল। গত বছর এই একই সময়ে আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলি দেখতে রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় দল। যদিও কেন্দ্রীয় দলের রিপোর্ট পেশের পর, তাদের দাবি মতো অর্থ মেলেনি বলেই অভিযোগ করেছিল রাজ্য সরকার। ঠিক এক বছর পরে ফের বিধ্বস্ত হয়েছে রাজ্যের তিন জেলা। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের দাপটে পূর্ব মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগণা ভীষণ রকম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কোথায় কতটা ক্ষতি হয়েছে তা দেখতেই রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় দল।
রবিবার রাত ৮’টা নাগাদ কলকাতায় এসে পৌছয় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। মূলত দক্ষিণ ২৪ পরগণার পাথরপ্রতিমা ও গোসবা পরিদর্শন করার কথা ছিল এই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের। এর পাশাপাশি তাদের বৈঠক করার কথা ছিল রাজ্যের অর্থ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে। দলটি আসার আগেই তাঁদের পরিদর্শনের পূর্ণাঙ্গ সূচি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে পাঠানো হয়েছিল নবান্নে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, সাত সদস্যের ওই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিনিধি ছাড়াও রয়েছেন কৃষি দফতর, পরিবহন দফতর, গ্রামীণ উন্নয়ন দফতর, বিদ্যুৎ দফতর, মৎস্য দফতর ও অর্থ দফতরের প্রতিনিধিরা। আর বাংলায় আসা প্রতিনিধি দলটির গঠন কাঠামোই বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কেন? কারণ ইয়াসের কারণে রাজ্য যে যে ক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানিয়েছে, সেই প্রতিটি ক্ষেত্রের জন্যই সংশ্লিষ্ট দফতর থেকেই নির্দিষ্ট একজন করে প্রতিনিধিকে দলে অন্তর্ভূক্ত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।