সেনা অভ্যুত্থানের কয়েকদিনের পরই জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুককে নিষিদ্ধ করলো মায়ানমার। এই মর্মে দেশটির সেনাপ্রধান মিং লেইং সমস্ত নেটওয়ার্ক প্রোভাইডারকে বার্তা পাঠিয়েছেন। তাদের আশঙ্কা, ফেসবুক চালু থাকলে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে। তাই ফেসবুক বন্ধ করার সিদ্ধান্ত।
ইতিমধ্যেই সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক নাগরিক রাস্তায় বেরিয়ে থালা, ঘন্টা বাজিয়ে সেনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। ফলত, দেশব্যাপী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়া রুখতেই ফেসবুক বন্ধের সিদ্ধান্ত সেদেশে সেনা প্রধানের।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার করা হয় ভোটে জিতে আসা সমস্ত নেতাকে। বাদ যাননি আং সান সু কি-ও। সেনার অভিযোগ, ভোটে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে এবং সেনার তদন্তের দাবি মেনে নেয়নি সরকার। তাই এই সেনা অভ্যুত্থান অনিবার্য ছিল। এদিকে মায়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করার কারণে ফেসবুকের মাধ্যমেই মায়ানমারের পরিস্থিতি বিশ্বের মানুষ জানতে পারছিল। কিন্তু ফেসবুক বন্ধ করার ফলে সে সম্ভাবনাও বন্ধ। তাছাড়া, এমন খবর আসতে শুরু করেছে যে, whatsapp এবং ইনস্টাগ্রামও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।