তাঁর ডিউটি শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই স্টেশনে যাত্রীভর্তি ট্রেন দাঁড় করিয়ে বিশ্রাম নিতে চলে গেলেন চালক। বেশ কিছু ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকায় যাত্রীদের মধ্যে কৌতূহল বাড়তে থাকে। তাঁরা ভেবেছিলেন হয়তো সিগন্যাল পায়নি ট্রেন। কিন্তু তাঁদের ভুল ভাঙে এক ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর। এত সময় পেরিয়ে গেলেও কেন ট্রেন ছাড়ছে না, তা নিয়ে হইচই পড়ে যায় স্টেশনে।
কেন ট্রেন ছাড়ছে না, তা জানার জন্য স্টেশনমাস্টারের কাছে জানতে যান বেশ কিছু যাত্রী। কিন্তু সেখানে গিয়ে যা শুনলেন তাতে তাঁরা স্তম্ভিত হয়ে যান। যাত্রীরা জানতে পারেন, চালক আর ট্রেন চালাতে পারবেন না। তার ডিউটি শেষ হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন। তিনি বিশ্রাম নিতে চলে গিয়েছেন। এর পরই যাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা দাবি জানান, চালককে ডেকে এখনই তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হোক। যাত্রী বিক্ষোভে উত্তেজনা বাড়তে থাকে স্টেশন চত্বরে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় রেলের পদস্থ আধিকারিকদের কাছে খবর পৌঁছয়। তড়িঘড়ি তাঁরা স্টেশনে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। শেষমেশ চাপের মুখে পড়ে অন্য এক চালকের ব্যবস্থা করে কয়েক ঘণ্টা পর ট্রেনটিকে গন্তব্যের উদ্দেশ রওনা করানো হয়।
অবাক করা এই কাণ্ড ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বরাবাঁকীতে। সেখানে বুধবার বুঢ়বল স্টেশনে এই ঘটনা ঘটেছে। স্টেশনে সহরসা এক্সপ্রেস এসে থামে। তার পর চালক এবং গার্ড বিশ্রাম করতে চলে যান। জানিয়ে দেন, তাঁদের ডিউটি শেষ হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যেই একটি মালগাড়ি যাচ্ছিল বুঢ়বল স্টেশন দিয়ে। যাত্রীরা ভেবেছিলেন যে, মালগাড়ির কারণে সিগন্যাল না পাওয়ায় ট্রেন ছাড়তে দেরি হচ্ছে। কিন্তু মালগাড়ি চলে যাওয়ার পরেও ট্রেন না ছাড়ায় যাত্রীদের সন্দেহ হয়। তখন তাঁরা কারণ জানতে স্টেশন ম্যানেজারের ঘরে যান। তখনই তাঁরা জানতে পারেন চালক এবং গার্ড বিশ্রাম নিতে গিয়েছেন। তাঁরা আর ট্রেন চালাতে রাজি নন। তখনই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। যদিও পরে অন্য এক চালককে আনিয়ে সেই ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা করানো হয়।