চার দিন ধরে নিখোঁজ। অবশেষে নিজের বাড়িতেই ঘরের মেঝের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হল এক ব্যক্তির দেহ। মুর্শিদাবাদের সুতির ওই ঘটনায় প্রবল চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। আশ্চর্যজনক ঘটনা হল ওই ঘটনায় গ্রেফাতার করা হয়েছে ওই ব্যক্তির স্ত্রীকেই। মৃতের স্ত্রী ও মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের পরই নিখোঁজ রহস্যের সমাধান হয়ে যায়।
কয়েকদিন ধরেই নিখোঁজ ছিলেন সুতির সুজনিপাড়া এলাকার বাসিন্দা দশরথ দাস। পুলিস তদন্তে নেমে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসবাদ করে। শেষপর্যন্ত সন্দেহ গিয়ে পড়ে দশরথের স্ত্রী ও মেয়ের উপরে। তাদেরও টানা জেরা করা হয়। শেষপর্যন্ত শনিবার ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিস প্রশাসনের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে বাডির ভেতরে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হয় দশরথের দেহ। পুলিস সূত্রে খবর, গত ৯ এপ্রিলের পর থেকে আর দশরথের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। দশরথের পরিবারের কয়েকজন থানায় অভিযোগ করেন, স্ত্রী, তিন জামাই ও মেয়ে মিলে দশরথকে খুন করে গুম করে দিয়েছে।
শুক্রবার সকালে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিস খবর পায় দশরথের পঞ্চবটি গ্রামের কিছু জায়গা নতুন করে খোঁড়া হয়েছে। এলাকাবাসীর ধারনা দশরথকে খুন করে এরকমই কোনও জায়গায় পুঁতে রাখা হয়েছে। এদিন দুপুরে একজিকিউটিভ ম্য়াজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে গ্রামের কয়েকটি জায়গা, দশরথের বাড়ির চারদিকে সন্দেহজনক জায়গা ও তার একটি ঘরের মেঝে খুঁড়ে তল্লাশি চালায় পুলিস। কিন্তু সেখানেও কোনও মৃতদেহ পাওয়া যায়নি।
এদিকে, এদিনই দশরথের স্ত্রী সুভদ্রা ও তার এক মেয়ে সুতি থানায় অভিযোগ করে বলেন, দশরথ তাদের উপরে অত্যাচার করতো। ওই কথা শোনার পরই সন্দেহ হয় পুলিসের। আটক করা হয় সুভদ্রা ও তার মেয়েকে। টানা জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা। তারা জানায়, তারাই দশরথকে খুন করছে। শনিবার দুপুর ১টা নাগাদ ধৃত মা ও মেয়েকে পুলিস তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। সোখানেই ধৃতরা দেখিয়ে দেয় কোথায় মৃতদেহ পুঁতে রাখা রয়েছে। তাদের দেখানে াজায়গায় খোঁড়াখুঁড়ি করতেই বেরিয়ে আসে মৃতদেহ। এমন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে। পাশাপাশি ক্ষোভে ফুঁসছেন অনেকে। ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তদের পুলিস নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের উপরে চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে স্থানবীয় মানুষজন। শেষপর্যন্ত পুলিস অভিযুক্তদের থানায় নিয়ে যায়। মা-মেয়ে-জামাই মিলেই দশরথকে খুন করেছে বলে জানা যাচ্ছে।