গ্রামের মাঠে, একাকার বন্ধুদের মধ্যে নিরামিষ ক্রিকেট ম্যাচ চলছিল। বাইশ গজের সেই যুদ্ধ যে কখন আসল যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হবে কে জানত! উত্তরপ্রদেশের কানপুরের রাথি খালসা গ্রামে এমনই মর্মান্তিক ঘটনা সামনে এল। দুই বন্ধুর লড়াইয়ের বলি হল একজন! তাও মাত্র ১০ টাকার জন্য খুন হতে হল একজনকে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত দুই। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কানপুর পুলিস।
কিন্তু কীভাবে ঘটল এমন ঘটনা?
আর পাঁচটা দিনের মতো রাথি খালসা গ্রামের একটি মাঠে কয়েক জন বন্ধু ক্রিকেট খেলায় ব্যস্ত ছিলেন। সচিন সিং নামক একটি ছেলের সঙ্গে জনৈক হরগোবিন্দ মাত্র ১০ টাকার বাজি ধরেছিল। প্রথম দিকে ম্যাচ শান্তভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু তারপর পরিস্থিতি খারাপ হয়। সচিনের একটি বলে ক্লিন বোল্ড হয় হরগোবিন্দ। এতেই রেগে যায় হরগোবিন্দ। সচিনের সে সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে দেয়। কথা কাটাকাটি শুরু হয়। ধীরে ধীরে সেখানে বাকিরাও যুক্ত হয়ে যায়। এই ঝগড়াটা ক্রমে হাতাহাতিতে পরিণত হয়। হরগোবিন্দ সঙ্গে সঙ্গে সচিনের গলা টিপে ধরে। প্রত্যক্ষদর্শীরা তাদের ছাড়ানোর চেষ্টা করলেও তা ব্য়র্থ হয়। একটা সময় পর সচিন প্রতিরোধ করা বন্ধ করে দিলেও হরগোবিন্দ গলা টিপে ধরে থাকে বলে অভিযোগ। সেই সময় হরগোবিন্দকে সাহায্য করে তাঁর দাদা। এরফলে দমবন্ধ হয়ে যায় সচিনের।
হরগোবিন্দ পরিস্থিতি বেগতিক বুঝতে পেরে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে খবর পেয়ে সচিনের পরিবারের সদস্যরা এসে মাঠ থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় হাসপাতালে। সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় সচিনকে। পরে দেখা যায় হরগোবিন্দের সঙ্গে তার দাদাও পলাতক।
সচিনের বাবা ঘটনার পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘাতামপুরের অতিরিক্ত পুলিস কমিশাওনা দীনেশ শুক্লা জানিয়েছেন দুই অভিযুক্ত ও মৃত বানজারা কমিউনিটি থেকে। এবং তারা আত্মীয়। যদিও পুরো বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ সচিনের পরিবার। জানা গিয়েছে সচিনের বয়স ১৪ বছর। সে ক্লাস এইটের পড়ুয়া।