১২ বলে দরকার ছিল ১৬ রান। ক্রিজ়ে ছিলেন হরমনপ্রীত কৌর। দেখে মনে হচ্ছিল হাসতে হাসতে ম্যাচ জিতবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। কিন্তু সেটা হল না। হারের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে আনল আরসিবি। মহিলাদের আইপিএলের ফাইনালে উঠল তারা। ব্যর্থ হয়ে মাঠ ছাড়তে হল গত বারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বইকে।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন আরসিবির অধিনায়ক স্মৃতি মন্ধানা। কিন্তু শুরু ভাল হয়নি তাঁদের। একমাত্র এলিস পেরি ছাড়া টপ অর্ডারের কোনও ব্যাটারই রান পাননি। মন্ধানা আরও এক বার ব্যাট হাতে ব্যর্থ। ১০ রান করেন তিনি। রিচা ঘোষ ১৪ রানে আউট হলে বড় ধাক্কা খায় আরসিবি। ৪৯ রানে ৪ উইকেট পড়ে গিয়েছিল তাদের।
একটা সময় দেখে মনে হচ্ছিল, ১০০ রানও পার হবে না আরসিবির। কিন্তু তখনও ক্রিজ়ে ছিলেন পেরি। আরও এক বার আরসিবির হাল ধরলেন তিনি। পাল্টা আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করলেন। পেরিকে সঙ্গ দিলেন জর্জিয়া ওয়্যারহ্যাম। দু’জনে মিলে দলের রান ১২০ পার করেন। ৬৬ রানে আউট হন পেরি। ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান করে আরসিবি।
মুম্বইয়ের দুই ওপেনার যস্তিকা ভাটিয়া ও হেলি ম্যাথুজ রান তাড়া শুরু করেন। দ্রুত রান করছিলেন তাঁরা। পাওয়ার প্লে কাজে লাগাচ্ছিলেন। শ্রেয়াঙ্কা পাতিলের বলে বড় শট মারতে গিয়ে ১৫ রানের মাথায় আউট হন ম্যাথুজ। যস্তিকাকে ১৯ রানে আউট করেন পেরি।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ভাল ব্যাট করলেন হরমনপ্রীত। প্রথমে ন্যাট শিভার ব্রান্ট ও তার পর অ্যামেলিয়া কেরের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি। শিভার ব্রান্ট করেন ২৩ রান। লক্ষ্য খুব বেশি না থাকায় তাড়াহুড়ো করছিলেন না হরমনপ্রীত। ৩১ রানের মাথায় তাঁকে স্টাম্প আউট করার সহজ সুযোগ ছাড়েন রিচা। সেই ওভারেই ৩৩ রানের মাথায় আউট হন হরমনপ্রীত। সেখান থেকে খেলা ঘুরে যায়।
১৯তম ওভারে ওঠে মাত্র ৪ রান। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১২ রান। সেটা করতে পারলেন না মুম্বইয়ের ব্যাটারেরা। ৫ রানে ম্যাচ জিতে ফাইালে ওঠে আরসিবি।