দেশজুড়ে কয়লা সঙ্কট দেখা দিয়েছে উত্সবের মরশুমের মুখেই। এর জেরে উত্তর ভারতের দিল্লি, পঞ্জাব, রাজস্থান অন্ধকারে ডুবতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশও একই শঙ্কায় ভুগছে। এই পরিস্থিতিতে অভয় প্রদান করল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের তরফে জানানো হল, শীঘ্রই বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্ল্যান্টগুলিতে কয়লা বা গ্যাস সরবারহের পরিমাণ বাড়ানো হবে।
গত সপ্তাহেই জানা যায় যে দেশের কয়লা ভাণ্ডার প্রায় শূন্য হয়ে গিয়েছে। এর জেরে ব্যাহত হতে পারে বিদ্যুতু উত্পাদন। এই সঙ্কটের জেরে রাজস্থান সরকার কয়েক ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও নেয়। দিল্লির কেজরিওয়াল সরকারও একই উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠায়। জানানো হয়, পর্যাপ্ত পরিমাণ কয়লা সরবরাহ না করা হলে আগামী দুদিনের মধ্যেই অন্ধকারে ডুবে যাবে রাজধানী।
এই আবহে এক বিবৃতি প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় বিদ্যুত্ মন্ত্রক জানায়, বিদেশ থেকে আমদানি করা কয়লার মূল্যবৃদ্ধি, বর্ষার জেরে কয়লা উত্তোলন কম হওয়া, আচমকা বিদ্যুতের চাহিদা বাড়া সহ একাধিক কারণে এই সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এর জেরে প্রভাবিত হতে পারে মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, উত্তর প্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশ। এই পরিস্থিতিত মোকাবিলা করতে কয়লা মন্ত্রকের অধীনে একটি দল গঠন করা হয়েছে। তারা সপ্তাহে দু’বার মজুত কয়লার পরিমাণ যাচাই করছে। কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড ও কয়লা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, কয়লা উত্তোলনের পরিমাণ বাড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আগামী তিনদিনের মধ্যেই ১.৬ মিলিয়ন টন কয়লা উত্তোলন করা হবে বলেও জানানো হয়। উৎপাদন বাড়লে ধীরে ধীরে মজুত কয়লার পরিমাণও বাড়বে।
এর আগে অগস্টে দেশে কয়লা সঙ্কট দেখা দিয়েছিল। সেই সময় দেশে মজুত ছিল ১৩ দিনের কয়লা। তবে বর্তমানে সেই পরিস্থিতি আরও গুরুতর। অবিলম্বে কয়লা সরবরাহ না হলে দেশের ১৩৫টি। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনেরগুলি সঙ্কটের মুখে পড়বে।