একাধিক মৎস্যজীবী–সহ ট্রলার আটক বাংলাদেশে, কাকদ্বীপ জুড়ে জারি টেনশন

মাছ ধরার সময় খেয়াল ছিল না জলসীমানা। তাই জলসীমা লঙ্ঘন করে মাছ ধরার অভিযোগে কাকদ্বীপের ৮টি ট্রলার এবং ১৩৫ জন মৎস্যজীবীকে আটক করল বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনী। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সরকারি সূত্র বলছে, আটক ট্রলার এবং মৎস্যজীবীর সংখ্যা যথাক্রমে ৪ এবং ৬৮। গত ২৪ জুন এই ঘটনা ঘটলেও অনেক পরে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। খবর দেওয়া হয় মৎস্য দফতরকেও। এই মৎস্যজীবীদের বাঘেরহাট জেলার মঙ্গলাপুর থানায় রাখা হয়েছে।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, বাংলদেশে এখনও মাছ ধরার মরশুম শুরু হয়নি। কিন্তু কাকদ্বীপ থেকে কিছু ট্রলার সেখানে ঢুকে ইলিশ ধরতে যায় বলে অভিযোগ। তখন টহলরত উপকূলবাহিনীর নজরে পড়ে মৎস্যজীবীরা এবং ট্রলার। পাকড়াও করা হয় তাদের। এই গ্রেফতার নিয়ে সেখানে হইচই শুরু হয়। তখন খবর দেওয়া হয় মৎস্য দফতরকে।

ঠিক কী বক্তব্য মৎস্যজীবীদের?‌ মৎস্যজীবীদের একটা অংশের দাবি, উত্তাল ঢেউয়ের কারণে অনেক সময় ট্রলার নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না। তখন এদিক–ওদিক চলে যায়। আবার মাছের জালও জলের স্রোতে দূরে চলে যায়। তাই ওই ট্রলারগুলি ধরা পড়েছে। ভারতীয় মৎস্যজীবীদের আটক করার ঘটনাটি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ কবে সেখান থেকে মৎস্যজীবীরা ছাড়া পাবেন তা এখনই বলা যাচ্ছে না। জেলার এক আধিকারিক বলেন, ‘‌জল সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে যাতে মৎস্যজীবীরা না ঢুকে পড়েন, তার জন্য প্রতিনিয়ত প্রচার চালানো হয়।’‌ কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, ‘‌হয়তো এমন সময় ছাড়ল, যখন মাছ ধরার মরশুমই শেষ। দ্রুত মৎস্যজীবীদের মুক্তির দাবি চাইছি।’‌

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.