নতুন এক গবেষণায় জানা যায় যে মাউন্ট এভারেস্টের পাদদেশ দিয়ে বয়ে যাওয়া একটি নদীতে ভূমিক্ষয়ের কারণে বিশ্বের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গটির উচ্চতা ১৫ থেকে ৫০ মিটার পর্যন্ত বেড়ে গেছে।
2/8
ক্রমবর্ধমান
ওই নদীতে ভূমিক্ষয় হয়ে যে পাথর ও মাটি সরে যাচ্ছে নদীবক্ষ থেকে, তারই চাপে মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে গবেষকরা জানাচ্ছেন।ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ লন্ডনের বিজ্ঞানীরা বলছেন, এভারেস্ট থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দূরে অরুণ নদী অববাহিকার ভূমি-ক্ষয়ের ফলেই প্রতিবছর মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা দুই মিলিমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।
3/8
ক্রমবর্ধমান
হিমালয়ের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়ার পথে অরুণ নদী নদীবক্ষ, অর্থাৎ ভূত্বক থেকে পাথর ও মাটি কেটে নিয়ে যায়। এর ফলে ভূত্বকের ঠিক নিচে ম্যান্টেল নামের যে স্তরটি রয়েছে তা ওপরের দিকে ফুলে ওঠে।এই প্রক্রিয়াটিকে ভূবিজ্ঞানের তত্ত্বে আইসোস্ট্যাটিক রিবাউন্ড বলা হয়ে থাকে।
4/8
ক্রমবর্ধমান
নেচার জিওসায়েন্স পত্রিকায় প্রকাশিত গবেষণাপত্রটিতে বলা হয়েছে, এই ভূবৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ার ফলে এভারেস্ট ও সেটির কাছাকাছি অঞ্চলের অন্যান্য পর্বতশৃঙ্গগুলিকে ওপরের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এভারেস্ট ছাড়াও বিশ্বের চতুর্থ ও পঞ্চম সর্বোচ্চ শৃঙ্গ– যথাক্রমে লোৎসে এবং মাকালুর উচ্চতাও বেড়ে যাচ্ছে।
5/8
ক্রমবর্ধমান
গবেষণাপত্রটির আরেকজন সহ-লেখক ড. ম্যাথু ফক্স বিবিসিকে ব্যাখ্যা করছিলেন, “ভূমিক্ষয়ের ফলে যে হারে মাউন্ট এভারেস্ট ও কাছাকাছি অন্যান্য শৃঙ্গগুলির উচ্চতা কমছে, তার থেকে বেশি হারে আইসোস্ট্যাটিক রিবাউন্ড শৃঙ্গগুলিকে ঠেলে ওপরের দিকে ঠেলে তুলে দিচ্ছে। আমরা জিপিএস যন্ত্র ব্যবহার করে দেখেছি যে ওই পর্বতশৃঙ্গগুলির উচ্চতা বছরে প্রায় দুই মিলিমিটার করে বাড়ছে। এই উচ্চতাবৃদ্ধির কারণ আমাদের কাছে এখন আগের থেকে অনেক পরিষ্কার,” বলছিলেন ম্যাথু ফক্স।
6/8
ক্রমবর্ধমান
চীন ও নেপালের সীমান্তে অবস্থিত মাউন্ট এভারেস্ট। শৃঙ্গটির উত্তরভাগ চীনের সীমানায় পড়ে। অরুণ নদী তিব্বত থেকে নেমে আসে নেপালে। আরও দুটি নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে ওই নদীটির নাম হয় কোশী। কোশী নদী নেপাল থেকে উত্তর ভারতে প্রবেশ করেছে, যা পরে আবার গঙ্গায় মিশেছে।
7/8
ক্রমবর্ধমান
খাড়া পর্বতমালার মধ্যে দিয়ে অরুণ নদী প্রচণ্ড স্রোতে নেমে আসে, তার ফলে নদীটির পলিমাটি কেটে নিয়ে আসার ক্ষমতাও খুব বেশি। নদীটির যাত্রাপথে তাই প্রচুর পরিমাণে পাথর আর মাটি বয়ে আনে।
8/8