নিম্নচাপের বৃষ্টি থেমে গেলেও এখনও বিস্তীর্ণ এলাকায় জারি রয়েছে জল যন্ত্রণা। এই আবহে বহু গ্রামে নদীর জলও ঢুকে পড়েছে। ডুবেছে রাস্তা। এমনই অবস্থা তৈরি হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের রাজনগর, সামাট, হোসেনপুর, রামগড় এবং রামদেবপুর গ্রামে। সেখানেই সারারাত দুধের শিশুকে কোলে নিয়ে ডুবে যাওয়া ঘরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে এক মহিলাকে। সেই ঘরেই নাকি ঘুরে বেরিয়েছে সাপ। এমনই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে সেখানকার গ্রামগুলির অনেককেই। তবে প্রশাসনের এই বিষয়ে টনক নড়ে দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা পরে।
প্রবল বর্ষণের জেরে ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা জলে ডুবে। শেষ পর্যন্ত ১২ ঘণ্টার দুর্যোগের পর সেখানকার দাসপুর পুলিশের ওসি অমিত মুখোপাধ্যাকে সাথে নিয়ে জলমগ্ন গ্রামগুলি থেকে দুর্গত মানুষদের উদ্ধারে নামেন পুলিশ আধিকারিক অগ্নিশ্বর চৌধুরী। পুলিশের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত উদ্ধারকারী বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও নামানো হয় উদ্ধার কাজে। এই দুর্যোগপূর্ণ বৃষ্টিতে দাসপুরের বিভন্ন গ্রামে বহু বাড়ি, রাস্তা জলের তলায়। তাই গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র যেতে পারেননি গ্রামবাসীরাও। প্রশাসনের টনক নড়ায় শনিবার থেকে গ্রামবাসীদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছরই বর্ষায় বৃষ্টির জেরে ডুবে যায় ঘাটালের একাধিক এলাকার রাস্তাঘাট। যদিও বিগত দু’বছর সেরকম কোনও পরিস্থিতি তৈরি না হলেও এবছর ফের একদিনের বৃষ্টিতে ডুবল ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা। এই অবস্থায় প্রাথমিক ভাবে ঘুমিয়ে ছিল প্রশাসন। পরবর্তীতে টনক নড়ায়প্রশাসনের তরফে সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এর আগে জুন মাসে বৃষ্টিতেও জলে ডুবেছিল এই এলাকাগুলি। জলমগ্ন এলাকাগুলিতে শুকনো খাবার দেওয়ার হয়েছিল সেই সময়। পাশাপাশি ত্রিপল বিতরণও করা হয়েছিল। রাস্তা পুরোপুরি ডুবে যাওয়ায় এখন নৌকায় চেপে চলছে যাতায়াত। যাদের নৌকা নেই তারা ছোট ডিঙিতে করে যাওয়া আসা করা।