জেলের ভিতর হু হু করে বাড়ছে এইচআইভি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সাম্প্রতিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, নতুন করে ৩৬ জন এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের একটি জেলে এখন এইচআইভি আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৬৩ জন! পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আসতেই ঘুম উড়েছে জেল জেলের ভিতর এইচআইভিতে আক্রান্ত একের পর এক বন্দির! ঘুম উড়েছে কারা কর্তৃপক্ষেরও।
জেলের তরফে জানানো হয়েছে, গত সেপ্টেম্বর থেকে এইচআইভি টেস্টিং কিট পাওয়া যাচ্ছিল না। তার ফলে বন্দিদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে দেরি হয়। শেষমেশ তা করা হয় ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে। তখনই এই তথ্য প্রকাশ্যে আসে, যা রীতিমতো উদ্বেগজনক!
জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সংক্রামিত বন্দিদের বেশিরভাগেরই মাদকাসক্তির ইতিহাস রয়েছে। আধিকারিকদের দাবি, কারাগারের বাইরে দূষিত সিরিঞ্জ ব্যবহার করার ফলেই এই বন্দিরা অসুখে আক্রান্ত হয়েছেন। কারাগারে আসার পর কোনও কয়েদি এইচআইভিতে আক্রান্ত হননি বলেই দাবি কর্তৃপক্ষের।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমস্ত এইচআইভি আক্রান্ত বন্দিকে এখন লখনউয়ের একটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে নিয়মিত চিকিৎসা করানো হচ্ছে। জেল কর্তৃপক্ষ সংক্রামিত বন্দিদের স্বাস্থ্যের উপর কড়া নজর রাখছেন।
তবে সংক্রামিত বন্দির সংখ্যা উদ্বেগজনক হলেও কারা কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন যে, গত পাঁচ বছরে এইচআইভি সংক্রমণের কারণে কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। এই ভাইরাস যাতে বাইরে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য তাঁরা, চিকিৎসকরা এবং রোগীরা যথেষ্ট চেষ্টা করছেন বলে জানা গিয়েছে।
তবে এ সব সত্ত্বেও ক্রমবর্ধমান এইচআইভি আক্রান্ত বন্দিদের সংখ্যা জেলের অন্য বন্দিদের মধ্যেও উদ্বেগ বাড়িয়েছে। জেলের মধ্যে কী ভাবে এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে কর্তৃপক্ষ পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করবেন বলে জানা গিয়েছে।