ক্রমশই বাড়ছে উত্তরাখণ্ডে মৃতের সংখ্যা। গত ৭ ফেব্রুয়ারি তুষারধসের ফলে হড়পা বান হয়। অলকানন্দা ও ধৌলিগঙ্গা নদীর জলস্তর প্রবলভাবে বেড়ে যায়। পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। বহু গ্রামের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ক্রমশই বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত এই বিপর্যয়ের পর উত্তরখণ্ডের ওই এলাকা থেকে ৫০টি দেহ উদ্ধার করল বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর ও ভারতীয় সেনা।
রবিবার সকালে তপোবন টানেল থেকে একাধিক দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার উদ্ধারকারীরা টানেলের মধ্যে বোরিং মেশিন দিয়ে খননকার্য চালাতে শুরু করে। বন্যার ফলে তপোবন বিষ্ণুগড়ের জলবিদ্যুৎ প্রজেক্ট ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। দুর্ঘটনার এক সপ্তাহ পরও ৩০ জন সেখানে আটকে ছিলেন। NTPC প্রজেক্টের জেনারেল ম্যানেজার আর পি আহিরওয়াল বলেছেন, টানেলে যারা আটকে রয়েছে তাদের উদ্ধার করার জন্য তিনটি কৌশল অবলম্বন করছেন তাঁরা। শুক্রবার একটি ড্রিল করে ক্যামেরা ও পাইপ ভিতরে ঢোকানো হয়। পাইপটির ব্যাস প্রায় একফুট। ভিতরে জমে থাকা জল বের করতে ওই পাইপটি কাজে লাগানো হচ্ছে। তপোবন টানেলে চলছে ম্যারাথন রেসকিউ অপারেশন। কিছু জনকে বের করে আনা সম্ভব হয়েছে। এখনও ভিতরে ২০ জনের মতো আটকে রয়েছেন।
তপোবন বাঁধের যেখান সবথেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেখানে কাজ করছে ভারতীয় সেনার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। উদ্ধার কাজ কররার জন্য ও ত্রাণ পাঠানোর জন্য একটি দড়ির সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এর ফলে ত্রাণ পাঠানো অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছে। যে সব গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে তাদের খাবারের প্যাকেট ও চিকিৎসার সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে। প্রায় ১৩টি গ্রামের সঙ্গে এভাবেই সম্পর্ক রাখা হচ্ছে। ওই সব এলাকায় ত্রাণ পাঠানোর জন্য ৮ সিটের একটি এয়ারবাস হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেক এলাকা এখন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। জলেরও সমস্যা রয়েছে। তাদের কাছেও সাহায্য পাঠানো হচ্ছে।
এছাড়া পর্যটকদেরও উদ্ধার করা হচ্ছে এই এয়ারবাস হেলিকপ্টারের মাধ্যমে। এছাড়া যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা গ্রাম থেকে মানুষদেরও এয়ালিফ্ট করা হচ্ছে। উদ্ধার কাজে সাহায্য করতে ইন্দো-তিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ (ITBP)। অপারেশনের অফিসার ইনচার্জ ডেপুটি কম্যান্ডান্ট রাজ জানিয়েছেন, এখন ট্রেক করে ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত যাওয়া যাচ্ছে। কয়েক ডজন সোলার পাওয়ার ল্যাম্প আনা হয়েছে। যেখানে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে সেখানে সেগুলি পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে।