কেরলে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করেছে। বর্ষার অপেক্ষা এবারের মতো শেষ। আগামী দু’দিনে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে বর্ষার প্রভাব দেখতে পাওয়া যাবে। প্রায় এক সপ্তাহ দেরিতে আসছে বর্ষা। ১ জুনের মধ্যে তা কেরলে পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল। সাধারণত প্রতি বছর এমন ঘটনা ঘটে। এ বার ৭ দিন দেরিতে এসেছে বর্ষা। আবহাওয়া দফতরও ৪ জুনের মধ্যে বর্ষার আগমনের পূর্বাভাস দিয়েছিল, কিন্তু তার থেকেও দেরিতে এসেছে। আবহাওয়া দফতর মনে করছে, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের জেরে বর্ষা আসতে দেরি হয়েছে।
আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর-পূর্ব ভারতে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করতে পারে। পরবর্তী ক্ষেত্রে তার হাত ধরেই উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমের কিছু অংশ প্রবেশ করবে। ফলে উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলায় অর্থাৎ দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে ১১ তারিখ বৃষ্টি হতে পারে। ১০ তারিখ থেকেই বৃষ্টি শুরু হবে আশা উত্তরের জেলাগুলিতে। ১২ তারিখ দু-এক জায়গায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকছে। তবে মালদা এবং দুই দিনাজপুরে ৮, ৯ এবং ১০ তারিখ তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি থাকছে।
আগামী দু’দিন দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে দেখা যাবে বৃষ্টি। উত্তর ভারতে মৌসুমী বায়ু আসবে কবে? আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কেরলে সক্রিয় হয়ে উঠবে মৌসুমী বায়ু। এরপর তামিলনাড়ু, কর্নাটক, উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিম ভারতে বর্ষার প্রভাব দেখা যাবে। এরপর ধীরে ধীরে তা পৌঁছে যাবে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, দিল্লি, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড, পাঞ্জাব ও হরিয়ানায়। মধ্য ভারতের যে সব চাষি বর্ষায় ফসল বোনার অপেক্ষায় রয়েছেন, তাঁদের আর প্রায় ১০ দিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে একবার বৃষ্টি শুরু হলে বর্ষার দেরিতে তার বিপরীত প্রভাব পড়বে না।
কেন দেরিতে কেরলে পৌঁছল মৌসুমী বায়ু? পূর্ব মধ্য এবং সংলগ্ন দক্ষিণ পূর্ব আরব সাগরের উপর দিয়ে ধীরে ধীরে উত্তর দিকে এগিয়ে চলেছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। যা এখন প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এরপর এটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। তার জেরেই বর্ষা দেরিতে আসছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, লাক্ষাদ্বীপ, মণিপুর, নাগাল্যান্ড ও কেরলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে তামিলনাড়ু, রায়ালসীমা, কর্ণাটক এবং পশ্চিম হিমালয়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া রাজস্থানে ধুলোঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে।