‘বাঁদরের কামড়’ রিঙ্কুকে! দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে কী হল কলকাতার ব্যাটারের? জানালেন শুভমন

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ় শুরু হচ্ছে রবিবার। প্রথম ম্যাচের আগে রিঙ্কু সিংহের একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সতীর্থ শুভমন গিল। সেই সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে রিঙ্কুর ফিটনেসের রহস্য। তাঁদের কথোপকথন সমাজমাধ্যমে ক্রিকেটপ্রেমীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তাতেই জানা গিয়েছে, রিঙ্কুকে নাকি বাঁদরে কামড়ে দিয়েছে!

২০ ওভারের ক্রিকেটে ভারতের নতুন ফিনিশার হয়ে উঠেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্যাটার রিঙ্কু। গত আইপিএলে আমদাবাদে গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে টানা পাঁচটি ছক্কা মারার পর থেকেই ক্রিকেটপ্রেমীদের আগ্রহের কেন্দ্রে তিনি। সুযোগ পেয়েছেন ভারতীয় দলেও। আন্তর্জাতিক মঞ্চেও নিজের যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে কোচ, সতীর্থদের আস্থা অর্জন করে নিয়েছেন রিঙ্কু। তাঁর হাতে রয়েছে বড় শট। আগ্রাসী ব্যাটিং করতে পারেন। চাপের মুখেও মাথা ঠান্ডা রেখে লড়াই করতে পারেন। তাঁর অন্যতম বড় গুণ হল উইকেটের মধ্যে অত্যন্ত দ্রুত দৌড়ে খুচরো রান নিতে পারা। ফিল্ডার হিসাবেও বেশ দক্ষ রিঙ্কু।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে রিঙ্কুর সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন শুভমন। উঠেছে রিঙ্কুর ফিটনেসের প্রসঙ্গ। দ্রুত দৌড়তে পারা নিয়ে রিঙ্কু উত্তর দেওয়ার আগেই জবাব দিয়ে দিয়েছেন শুভমন। মজা করে শুভমন বলেছেন, ‘‘ওকে আসলে বাঁদরে কামড়ে দিয়েছে। তাই এত জোরে দৌড়য়।’’ শুভমনের মুখে মজার উত্তর শুনে হেসে প্রায় লুটিয়ে পড়েন রিঙ্কু। হাসতে থাকেন শুভমনও।

দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট সম্পর্কে রিঙ্কু বলেছেন, ‘‘ভারতের পিচগুলোর তুলনায় দক্ষিণ আফ্রিকার পিচে বাউন্স কিছুটা বেশি। গতিও বেশি। তাই জোরে বোলারদের বিরুদ্ধে বেশি করে অনুশীলন করেছি।’’ রিঙ্কু জানিয়েছেন, তিনি কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের পরামর্শ মতো খেলার চেষ্টা করছেন। দ্রাবিড় কী পরামর্শ দিয়েছেন তাঁকে? কেকেআর ক্রিকেটার বলেছেন, ‘‘আমি পাঁচ বা ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নামি। সে সময় প্রথম বল থেকেই চালিয়ে খেলতে হয়। কোচ আমাকে আমার স্বাভাবিক ব্যাটিং করতে বলেছেন। নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে বলেছেন। দ্রাবিড় স্যরের সঙ্গে কথা বলে দারুণ লেগেছে আমার। এখানকার আবহাওয়াও বেশ ভাল। অনুশীলন করতে মজা লাগছে।’’

ব্যাটিং অর্ডারের নীচের দিকে ব্যাট করা নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই রিঙ্কুর। তিনি বলেছেন, ‘‘পাঁচ বা ছয় নম্বরে ব্যাট করা একটু কঠিন। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। তবে আমি অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। এখন আর সমস্যা হয় না। চার-পাঁচ উইকেট দ্রুত পড়ে গেলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে যায়। তখন জুটি তৈরির ব্যাপারে মন দিতে হয়। মাথা ঠান্ডা রেখে সেটা করার চেষ্টা করি। কারণ ওই পরিস্থিতিতে বেশি আগ্রাসী হলে সব সময় লাভ হয় না।’’

উত্তরপ্রদেশের হয়ে ২০১৩ সাল থেকে খেলছেন রিঙ্কু। রঞ্জি ট্রফিতেও তিনি ব্যাট করেন পাঁচ বা ছয় নম্বরে। তাই ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে এখন আর ভাবেন না কেকেআর ব্যাটার। যে কটা বল খেলার সুযোগ পান, যতটা সম্ভব কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.