নাতনিকে ধর্ষণ। ১০ বছরের জন্য শ্রীঘরে গেল দাদু। একদিকে যখন কুলতলিতে নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগে বিচার চেয়ে উত্তাল। ঠিক তখনই উলটো ঘটনা ঘটল জলপাইগুড়িতে। জানা গিয়েছে, বছর ১৬ এর নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছিল ৬৫ বছরের প্রতিবেশী এক দাদু। সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণের পর অভিযুক্তকে ১০ বছরে জন্য সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিল জলপাইগুড়ি বিশেষ পকসো আদালতে। একইসঙ্গে আরও ৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
অনাদায়ে আরও ১ মাসের কারাদন্ডের আদেশ। একই সঙ্গে নাবালিকাকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের জন্য লিগাল এইড অথরিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত। সহকারী সরকারি আইনজীবী দেবাশিষ দত্ত জানিয়েছেন, করোনা কালের ২০২০ সালে ডিসেম্বর মাসে এই ঘটনা ঘটেছিল। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে নাবালিকার বাড়িতে চড়াও হয় এই বৃদ্ধ। এরপর তাকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ভয় দেখায়।
এরপর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় নাবালিকারা মা তাকে দেখে ফেলে। ঘরে ঢুকলে মেয়ে তার মাকে সব খুলে বলে। এরপর জলপাইগুড়ি মহিলা থানায় মামলা দায়ের করে। এরপর তদন্ত শুরু হয়। ২০২১ সালে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। জেল হেফাজত হয় তার। সেখান থেকেই গত ৩ বছর ধরে তার মামলার শুনানি চলে। মোট ৮ জন সাক্ষ্য দেয়। সব পক্ষ শোনার পর মাননীয় বিচারক ইন্দবর ত্রিপাঠী সোমবার অভিযুক্তকে ১০ বছরের জন্য সশ্রম কারাদণ্ডর নির্দেশ দিয়েছেন।