হায়দরাবাদ এফসি থেকে আকাশ মিশ্রকে নেওয়ার চেষ্টা করলেও সফল হয়নি মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। কিন্তু চেন্নাইয়িন এফসি থেকে অনিরুদ্ধ থাপাকে ছিনিয়ে নিল তারা। শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ভাবে সবুজ-মেরুনে অনিরুদ্ধের সই করার কথা ঘোষণা করা হল। এই মুহূর্তে ভারতের হয়ে সাফ কাপে খেলছেন তিনি। অনিরুদ্ধ যোগ দেওয়ায় জুয়ান ফেরান্দোর দলের মাঝমাঠের শক্তি অনেকটাই বাড়ল। পাঁচ বছরের জন্যে চুক্তি হয়েছে অনিরুদ্ধের সঙ্গে।
চেন্নাইয়িনের হয়ে গত পাঁচটি মরসুমে ভাল ফুটবল খেলেছেন অনিরুদ্ধ। মাঝমাঠে খেলেন, কিন্তু আক্রমণে উঠতে পারেন অনায়াসে। যে কোনও কোচের কৌশলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন। জাতীয় দল হোক বা ক্লাব, অনিরুদ্ধকে বাদ দিয়ে প্রথম একাদশ সাজানো কঠিন। এ রকম একজন ফুটবলারকে পেয়ে মোহনবাগানের মাঝমাঠ আরও সমৃদ্ধ হল। মোহনবাগানে যোগ দিয়েই অনিরুদ্ধের মুখে ডার্বির কথা।
মোহনবাগানের নতুন ফুটবলার বলেছেন, “ফুটবল খেলা শুরু করার সময় থেকেই শুনতাম ডার্বির কথা। ছোটবেলায় পৈলান অ্যারোজ়ে খেলার সময় বা কল্যাণী স্টেডিয়াম জাতীয় বয়সভিত্তিক দলের অনুশীলন করতাম, তখন ডার্বি হলেই যুবভারতীতে খেলা দেখতে চলে যেতাম। গ্যালারিতে বসে মোহনবাগানের সমর্থকদের আবেগ দেখতাম। সবাই বলত ডার্বি খেলতে গেলে তারকা হতে হয়। ভাবতেই পারছি না সেই হাজার হাজার সমর্থকদের সামনে আমি মাঠে নামব।”
মোহনবাগানে যোগ দিয়ে আরও দু’টি লক্ষ্য রয়েছে অনিরুদ্ধের। আরও এক বার আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়া। দ্বিতীয়ত, এএফসি কাপে ভাল ফল করা। বলেছেন, “মোহনবাগান অনেক ভাল ভাল ফুটবলারকে সই করাচ্ছে। আবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে নামব আমরা। দেশের জার্সিতে অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচ জয়ের স্বাদ পেয়েছি। এ বার ক্লাব ফুটবলেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে মোহনবাগানের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই।”