অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে পড়তে যাতে না হয় তাই প্রেস কনফারেন্সে এড়িয়ে চলেন মোদী। হামেশাই এটা বলে খোঁচা দেন বিরোধীরা। কিন্তু ভোট চলাকালীন একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কেন প্রেস কনফারেন্স করেন না প্রধানমন্ত্রী, তার যুক্তি সহকারে জবাব দিয়েছেন।মোদী জানিয়েছেন, তিনি কখনো সাক্ষাৎকার দিতে অস্বীকার করেননি। তবে বর্তমান যুগে মিডিয়ার ভূমিকা পরিবর্তিত হয়েছে, তাই তিনি জনসাধারণের কাছে পৌঁছানোর জন্য যোগাযোগের একাধিক মাধ্যমের উপরে জোর দেওয়ার ক্ষেত্রেই পক্ষপাতী। একই সঙ্গে অভিযোগের সুরে তিনি বলেছেন, আজকের মিডিয়া নিরপেক্ষ নয়, আগের মত।
মোদীর দাবি, বর্তমান মিডিয়া নিরপেক্ষ নয়। তাই তিনি সাংবাদিক বৈঠক করেন না। বেশি সাক্ষাৎকারও দেন না। তিনি বলেন, আমি সংসদের কাছে জবাবদিহি করব। সেখানে আমি সব প্রশ্নের উত্তর দিতে তৈরি। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, মিডিয়া আগে যেমন ছিল এখন আর সে রকম নেই। এখন দর্শকরা জানেন, যে কোন মিডিয়া কোন মতাদর্শ নিয়ে চলে। মোদী বলেন, আজ মিডিয়া আর আলাদা কোনো প্রতিষ্ঠান হিসেবে নেই। আপনাদের মতাদর্শ জেনে গিয়েছে মানুষ। আগে মিডিয়ার কোন মুখ ছিল না। মিডিয়ায় কে লেখেন, লেখকের মতাদর্শ কী সেটার কোন গুরুত্ব ছিল না। মানুষ মনে করতেন যে এটা বিশ্লেষণমূলক লেখা। কিন্তু আজ সেরকম পরিস্থিতি নেই।
মোদী দাবি করেন, এখন একটা সংস্কৃতি তৈরি হয়ে গিয়েছে যে, আদতে কোন কাজ করতে হবে না। শুধু মিডিয়াকে সামলে নিতে হবে। বলে দিতে হবে যে এই করা হচ্ছে, ওই করা হচ্ছে, তাহলেই পুরো দেশে সেটা ছড়িয়ে পড়বে। কিন্তু সেই সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করেন না প্রধানমন্ত্রী। তিনি পরিশ্রম করতে চান। বিজ্ঞান ভবনে দাঁড়িয়ে কোন ফিতে কাটার ছবি প্রকাশের পরিবর্তে ঝাড়খণ্ডের ছোট কোন গ্রামে গিয়ে কাজ করতে ভালোবাসেন মোদী বলে দাবি করেছেন তিনি।
একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন যে, যোগাযোগের সূত্রধর হিসেবে আগে সংবাদমাধ্যম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সংবাদ মাধ্যমের হাত ধরেই জনগণের কাছে পৌঁছাতে পারতেন নেতারা। সাধারণ মানুষদেরও সেই পথে হাঁটতে হতো। কিন্তু এখন যোগাযোগ ব্যবস্থার নতুন মাধ্যম তৈরি হয়ে গিয়েছে। নেতারা সরাসরি জনগণের কাছে পৌঁছে যেতে পারছেন। সাধারণ মানুষও একই কাজ করতে পারছেন বলে দাবি করেন মোদী।