প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার হায়দরাবাদের কাছে রঙ্গারেড্ডি জেলায় একাদশ শতাব্দীর বৈষ্ণব সাধক শ্রী রামানুজাচার্যের মূর্তি উন্মোচন করবেন। গত মাসেই প্রধানমন্ত্রীর হায়দরাবাদ সফরের ঘোষণা করা হয়েছিল। ‘স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটি’ সম্পর্কে রইল কিছু তথ্য:
> ২১৬ ফুটের মূর্তিটি শ্রী চিন্না জেয়ার স্বামী আশ্রমের ৪০ একর বিস্তৃত প্রাঙ্গনে স্থাপন করা হয়েছে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
> জেয়ার এডুকেশন ট্রাস্টের আধিকারিক সূর্যনারায়ণ ইয়েল্লাপ্রগাদের মতে, ‘স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটি’ বসা অবস্থায় থাকা মূর্তিগুলির মধ্যে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
> এটি তার জন্মের এক হাজার বছর উপলক্ষে নির্মিত হয়েছে। প্রকল্পটির মোট ব্যয় প্রায় এক হাজার কোটি টাকা।
> মূর্তিটি সোনা, রূপা, তামা, পিতল এবং টিন- এই পাঁচটি ধাতু দিয়ে তৈরি। ২০১৭ সালে কাঠামোটি নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে অন্যান্য আরও নির্মাণের কাজ শেষ করতে চার বছর সময় লেগে গিয়েছে।
> মূর্তিটি ভদ্রবেদী নামে একটি তিনতলা বিশিষ্ট ৫৪ ফুট কাঠামোর উপর নির্মিত একটি বিশাল পদ্মের উপর স্থাপন করা হয়েছে। ৬৩,৪৪৪ বর্গফুট এলাকা বিস্তৃত নিচতলায় রামানুজাচার্যের জীবন এবং তাঁর দর্শন ফুটিয়ে তোলা একটি গ্যালারি আছে।
> দ্বিতীয় তলায় প্রায় তিন লক্ষ বর্গফুট এলাকায় রামানুজাচার্যের একটি মন্দির রয়েছে। সেখানে প্রতিদিন পুজোর জন্য তাঁর একটি ১২০ কেজি সোনার মূর্তি স্থাপন করা হবে।
> ১৪,৭০০ বর্গফুট বিস্তৃত উপরের তলায় একটি বৈদিক ডিজিটাল লাইব্রেরি এবং গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে।
> ভদ্রবেদীর বাইরে মূর্তিটির চারপাশে ৩৪ একর জমিতে পাথরে নির্মিত ১০৮টি দিব্য দেশা ক্ষেত্র (দেশ জুড়ে অবস্থিত বৈষ্ণব মন্দির) দিয়ে ঘেরা।
> আশ্রমের কর্মীরা বলেছেন যে তারা মূর্তির কাছে বিশ্বের সমস্ত দেশের পতাকা স্থাপন করবেন যাতে এটিকে একটি সর্বজনীন আবেদন জানানো হয়।
> মূর্তিটির ধারণা চিন্না জেয়ার স্বামীর।