Modi on GST Reforms: GST ‘সাশ্রয় উত্‍সব’! স্বদেশী পণ্যে জোর দিয়ে বড় বার্তা মোদীর…

পুজোর মুখে স্বস্তি। আগামিকাল সোমবার থেকে কার্যকর হচ্ছে জিএসটি-র নতুন কর কাঠামো। নয়া এই ব্যবস্থায় কী সুফল মিলবে? জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে দেশবাসীকে বোঝানোর চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বললেন, ‘সময়ের দাবি মেনে, সব পক্ষের মতামত শুনে, নতুন প্রজন্মের জন্য নতুন জিএসটি কাঠামো উপহার দেওয়া হচ্ছে’।

আজ, রবিবার মহালয়ার বিকেলে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন মোদী। তিনি বলেন, ‘দেশকে আত্মনির্ভর করার দিকে সোমবার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করা হবে। আগামিকাল থেকে দেশবাসীর সাশ্রয় শুরু হবে। সঞ্জয় বাড়বে, অনেক পণ্য সস্তা হয়ে যাবে।  নিজেদের পছন্দ মতো জিনিস সহজেই কিনতে পারবেন দেশবাসী’। জিএসটির এই সাশ্রয় উৎসব দেশের সর্বস্তরের মানুষকে সুবিধা দেবে’। জানান, ‘২২ সেপ্টেম্বর, নবরাত্রির প্রথম দিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন প্রজন্মের পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) কার্যকর হয়ে যাবে’।

খাদ্যপণ্য, ওষুধ, সাবান, জীবনবিমা, স্বাস্থ্যবিমা-সহ অন্য বেশ কিছু পণ্য ও পরিষেবার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী। বলেন, এগুলির মধ্যে অনেকগুলিই সম্পূর্ণ করমুক্ত হয়ে যাচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে কর কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করে দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে বার্তা,  ‘ভারত যখন উন্নয়নের শিখরে ছিল, তখন দেশের অর্থব্যবস্থার মূল ভিত্তি ছিল ক্ষুদ্র-মাঝারি-কুটির শিল্প। ভারতে তৈরি পণ্যের মান অত্যন্ত ভাল হত। সেই গৌরবময় অধ্যায়কে পুনরুদ্ধার করতে হবে’।

মোদীর আরও বক্তব্য, ‘দেশীয় পণ্যের মান এমন হবে, যা গোটা বিশ্বের ভারতের গৌরব বৃদ্ধি করবে। সেই লক্ষ্যকেই দেশবাসীকে এগোতে হবে। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন যেমন স্বদেশি মন্ত্রে শক্তি পেয়েছে, তেমনই দেশের উন্নতিতেও স্বদেশি মন্ত্রই শক্তি জোগাবে’।  প্রতিটি রাজ্যকেই স্বদেশি পণ্য উত্‍পাদনে গতি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

এদিকে মোদী যখন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিচ্ছিলেন, তখন দক্ষিণ কলকাতায় বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে উদ্বোধনে ব্যস্ত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভাষণ শেষ হতেই প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেন তিনি। দক্ষিণ কলকাতার ৯৫ পল্লীর পুজো উদ্বোধনের মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, ‘জিএসটি নিয়ে কেউ কেউ বড় বড় ভাষণ দিচ্ছেন। আমি একটা কথাই বলি, এই যে ইন্সিওরেন্সের থেকে টাকা বা জিএসটি কমানো বা না থাকা। ফার্স্ট চিঠি আমি লিখি। জিরেতে ট্যাক্স আর হিরেতে মুক্ত। হিরেতে ট্যাক্স নেই, জিরেতে ট্যাক্স আছে। মানুষের খুব কষ্ট হচ্ছিল। এর জন্য ক্রেডিট কার জানেন? যাঁরা ভাষণ দিচ্ছেন, তাঁদের নয়, ক্রেডিট হচ্ছে রাজ্যের’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.