স্ট্র্যান্ড রোড অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মাঝরাত পর্যন্ত ঘটনাস্থল ও তারপর এসএসকেএম হাসপাতালে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মৃতদের পরিবারপিছু দশ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণার পাশাপাশি মৃতদের পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরির ঘোষণাও করেছেন তিনি। অপরদিকে, ঘটনা ঘটনার পর রেলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বলেছেন, ‘রেলের জায়গা। তাই তাদের উপরেও দায়িত্ব বর্তায়, কিন্তু কেউ আগুন নেভাতে আসেনি। রেলের কাছে ম্যাপ চাওয়া হয়েছিল দমকল কর্মীদের তরফ থেকে, কিন্তু সেই ম্যাপ দেওয়া হয়নি।’ যদিও রেলমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল ট্যুইট করে দাবি করেছেন, রেলের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে ছিলেন। রাজ্য সরকারের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছেন তাঁরা। এবার স্ট্র্যান্ড রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।
মঙ্গলবার সকালে তিনি ট্যুইটে লেখেন, ‘কলকাতায় মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনায় আমি শোকাহত। এই সময় আমি শোকগ্রস্ত পরিবারগুলির প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আহত ব্যক্তিদেরও দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’ এরপরপরই প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর অফিসের (PMO) পক্ষ থেকে ট্যুইটে লেখা হয়েছে, ‘কলকাতায় অগ্নিকাণ্ডে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী জাতীয় বিপর্যয় তহবিল থেকে তাঁদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা করে সাহায্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।’
বিধ্বংসী এই আগুন লাগা ও মৃত্যুর কারণ খুঁজতে ইতিমধ্যেই তিনটি পৃথক তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একটি তদন্ত করবে কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যেই হেয়ার স্ট্রিট থানার পক্ষ থেকে মামলা রুজু করা হয়েছে। অপর একটি তদন্ত করবে দমকল। সেক্ষেত্রেও বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু হতে পারে। অন্য দিকে রেলও চার সদস্যের উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে।
গতকাল সন্ধ্যা ৬.১০ মিনিট নাগাদ আগুন লাগে পূর্ব রেলের ওই অফিসে। তারপর থেকে টানা দশ ঘণ্টার লড়াইয়ের পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও ভোর চারটে নাগাদ ফের ওই বিল্ডিংয়ের তেরো তলায় আগুন দেখতে পাওয়া যায়। তারপর ঘণ্টা দুয়েকের চেষ্টায় তা নিয়ন্ত্রণে আসে। এখন আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে বলে জানানো হয়েছে দমকলের তরফে। ইতিমধ্যেই স্ট্র্যান্ড রোড দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়েছে।