বাংলায় শেষ দফায় নয়টি আসনে ভোট বাকি। সেই কারণেই মঙ্গলবার আবারো রাজ্যে প্রচারে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। একাধিক সভা ও কলকাতায় রোড শো আছে তাঁর। তার মধ্যেই সংবাদ সংস্থার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী দাবি করলেন, বাংলায় সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে বিজেপি। সারা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সবচেয়ে ভালো ফল করবে। মোদীর দাবি, এবারের ভোটের লড়াইয়ে তৃণমূল অস্তিত্ব বাঁচানোর জন্য লড়ছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পশ্চিম হোক বা উত্তর ভারত, বেশির ভাগ রাজ্যেই বিজেপির আসন সংখ্যা প্রায় কানায় কানায় ভর্তি। রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, দিল্লি, হরিয়ানায় সেভাবে আসন বাড়ানোর জায়গা নেই। সেই কারণেই পূর্ব- দক্ষিণে এবার বেশি নজর দিয়েছিলেন মোদী-শাহ। লোকসভা ভোটে বাংলায় প্রধানমন্ত্রীর সভার সংখ্যা তার প্রমাণ।
সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলছেন, বাংলার ভোটে তৃণমূল কেবল দলটিকে টিকিয়ে রাখার জন্য লড়াই করছে। আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন বাংলায় বিজেপির তিনটে আসন ছিল। সেখান থেকে ৮০ হয়েছে। গত লোকসভা ভোটে আমরা প্রচুর সমর্থন পেয়েছিলাম। তাঁর দাবি, “গোটা দেশের মধ্যে বাংলা বিজেপির বেস্ট পারফর্মিং রাজ্য হবে এবার। পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি সাফল্য পাবে বিজেপি।”
বাংলায় ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩০টি’তে ভোট হয়ে গেছে। যে নয়টি আসনে ভোট বাকি, সেগুলো সবকটি তৃণমূলের দখলে রয়েছে এখন। বিজেপি তাই মরিয়া চেষ্টা চালাতে চাইছে। বিশেষত উত্তর কলকাতা লোকসভা আসনটি জিততে মরিয়া বিজেপি বলে খবর।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলায় লাগাতার খুন আর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ভোটের আগে বিজেপি কর্মীদের জেলে পোরা হচ্ছে। এইসব অত্যাচার সত্ত্বেও বিপুল সংখ্যক মানুষ বেরিয়ে এসে নিজের ভোট নিজে দিচ্ছেন।
সাক্ষাৎকারে ওবিসি শংসাপত্র বাতিলের প্রসঙ্গ তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, কলকাতা হাইকোর্ট বেআইনিভাবে দেওয়া ওবিসি সংরক্ষণ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে। তৃণমূল এখন উচ্চ আদালতকে আক্রমণ করছে। বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে খারাপ কথা বলছে। কংগ্রেসের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ওদের একটা সুনির্দিষ্ট ছক রয়েছে। প্রথম পাপ ওরা করেছে, অন্ধ্রপ্রদেশে সেখানে মুসলিমদের সংরক্ষণ দেওয়ার পাপ করেছে। সংবিধানে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণের কোনো বিধান নেই, তাও ওরা সেটা করেছে। তাই সুপ্রিম কোর্ট সেটা খারিজ করে দিয়েছে। তাই এবার পিছনের দরজা দিয়ে মুসলমানদের ওবিসির আওতায় সংরক্ষণ দিতে চাইছে। ওবিসিদের অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। হাইকোর্টের রায়ে পরিষ্কার যে কত বড় জালিয়াতি হয়েছে। তবে তার চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক, তারা ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য বিচার ব্যবস্থাকে আক্রমণ করছে, এমন কি বলছে, যাই হয়ে যাক আদালতের কথা শুনবে না। মোদীর দাবি, “এটাই সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ জনক।”