আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে দু’দিনের দক্ষিণ ভারত সফরে সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করতে কেরল ও তামিলনাড়ু সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এই সরকারি প্রকল্প উদ্বোধনের ফাঁকে তামিলনাড়ুতে একাধিক মন্দিরেও যাবেন তিনি। রামায়নের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে এমন মন্দিরগুলিতে যাবেন মোদী। রামেশ্বরমের শ্রী আরুল মিগু রামনাথ স্বামী মন্দিরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে আয়োজিত বিভিন্ন ভাষায় রামায়ণ পাঠে অংশগ্রহণ করবেন তিনি, যা রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, ২০ জানুয়ারি দু’দিনের সফরে তামিলনাড়ু যাবেন প্রধানমন্ত্রী। ২৯ তারিখ তামিলনাড়ু পৌঁছে ১১টা নাগাদ তিরুচিরাপল্লীর শ্রী রঙ্গনাথ স্বামী মন্দিরে যাবেন। এই মন্দিরে প্রধান বিগ্রহ বিষ্ণুর। স্বাভাবিকভাবে অযোধ্যার রাম মন্দিরের সঙ্গে এই মন্দিরের বিশেষ যোগসূত্র রয়েছে। রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে এই মন্দিরে রামায়ণ পাঠসহ বিশেষ পুজোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।সেখানে রামায়ণ পাঠ শুনবেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপর দুপুর দুটো নাগাদ রামেশ্বরমে যাবেন। সেখানে আরুল মিগু রামনাথ স্বামী মন্দির দর্শন করবেন এবং পুজো দেবেন। এই মন্দিরের প্রধান বিগ্রহ শিব। কথিত আছে রামচন্দ্র ও দেবী সীতা এই শিবলিঙ্গের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই মন্দিরটিকে দেশের চার ধাম ও ১২ জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে একটি বলে ধরা হয়।
স্বাভাবিকভাবে অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে রামেশ্বরমের এই মন্দিরে বিশেষ ভজন রামায়ণ পাঠের আয়োজন করা হয়েছে।
এই মন্দিরে রাম মন্দির উদ্বোধনের কয়েকদিন আগে থেকে তেলেগু, মালায়ালম, মারাঠি ভাষায় রামায়ণ পাঠের আয়োজন করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানেও যোগদান করবেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর বাংলা সহ আটটি ভাষায় রামের অযোধ্যায় ফিরে আসার কাহিনী বর্ণনা করা হবে। সেই অনুষ্ঠানেও যোগদান করবেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর সন্ধ্যায় মন্দিরে আয়োজিত ভজন সন্ধ্যা অনুষ্ঠান করবেন তিনি। এরপর ২১ জানুয়ারি সকালে ধানুসকদীতে কোথানদারামাসোয়ামি দর্শনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে মন্দিরে পুজো দেবেন। কথিত আছে এখানে রামচন্দ্রের সঙ্গে প্রথমবার বিভীষণের সাক্ষাৎ হয়েছিল। তারপর দুপুরে আরিচল মুনাই পরিদর্শনে যাবেন মোদী। কথিত আছে আরিচল মুনাই থেকেই রাম সেতু নির্মিত হয়েছিল।