অমৃত ভারত প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে দেশের ৫০৮টি স্টেশনকে আধুনিকীকরণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ৯৮টি স্টেশনকে এই অমৃত ভারত প্রকল্পের মধ্য দিয়ে উন্নতমানের স্টেশনে পরিণত করা হচ্ছে। এর জন্য পশ্চিমবঙ্গের সব স্টেশনে কাজের জন্য বরাদ্দ হয়েছে এগারো হাজার নয়শো সত্তর কোটি টাকা। রবিবার সকাল এগারোটায় প্রধানমন্ত্রী রিমোটের সাহায্যে সব রেল স্টেশনের শিল্যানাস করলেন। কয়েক বছরের মধ্যে রেলের পরিকাঠামোর আধুনিকীরণের সঙ্গে একাধিক সুযোগ সুবিধে চালু হতে চলছে বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী।
স্টেশনে থাকছে ওয়াইফাই, স্টেশন ঘিরে মার্কেট কমপ্লেক্স, বসার জায়গা, প্রবেশ পথ ও বাহির হওয়ার পথ আলাদা করে এক আধুনিক স্টেশন গড়ে তোলা হচ্ছে। স্বাধীনতার পর এরকম উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। দেশের সব রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে এই সুবিধা পাওয়া যাবে।
জলপাইগুড়ি জেলায় টাউন স্টেশন, রোড স্টেশন, ধুপগুড়ি, নিউ মাল এছাড়া কোচবিহারের হলদিবাড়ি স্টেশনকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে অমৃত ভারত প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে। দেশের সব জায়গায় কয়েক বছরের মধ্যে বৈদ্যুতিক ট্রেন পরিষেবা চালু হতে চলছে। জলপাইগুড়িতেও পুজোর আগেই বৈদ্যুতিক ট্রেন পরিষেবা চালু হবে।
এ দিন জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন ও টাউন স্টেশনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে অন লাইনের মাধ্যমে অমৃত ভারত প্রকল্পের কাজের শিল্যানাস করলেন প্রধানমন্ত্রী। এডিআরএম কাটিহার ডিভিশন সঞ্জয়
চিলওয়ার বলেন, “প্রধানমন্ত্রী স্টেশনের কাজের শিলান্যাস করলেন। জলপাইগুড়ি স্টেশনকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। রেল স্টেশনকে ঘিরে শহরের মূল জায়গা গড়ে উঠবে। জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনের জন্য ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।”