কসবায় উঠতি মডেল সরস্বতীর মৃত্যুর কারণ কি হুমকি ফোন? তাঁর মামার দাবিকে ঘিরে নতুন করে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। রবিবার কসবার বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে মানসিক চাপের কারণে তিনি ‘আত্মহত্যা’র সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু পেশাগত, নাকি অন্য কোনও মানসিক চাপ ছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
সরস্বতীর মামা গোবিন্দ মণ্ডলের দাবি, ‘‘প্রতি দিন রাতে ভাগ্নি ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলত। কয়েক দিন ওকে কাঁদতেও দেখি।’’ মামার অনুমান, ফোনে কেউ তাঁকে হুমকি দিত। সে কারণেই ‘আত্মহত্যার’ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরস্বতী।
মামা আরও জানিয়েছেন, ঘটনার আগের দিন রাতে সরস্বতী বাড়িতে ঢুকে বলেন, বাবা, মা, দিদি— সবাইকে ‘মিস’ করছি। এর পর খাওয়াদাওয়া করে তিনি নিজের ঘরে চলে যান।
আগে পার্ক স্ট্রিট এলাকায় বাবা-মা সঙ্গে থাকতেন সরস্বতী। কিন্তু পরিবারে অশান্তি শুরু হওয়ায় তাঁর মাকে নিয়ে মামারা চলে আসেন। তখন থেকে মামার বাড়িতে থাকতেন তিনি। লকডাউনের আগে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে টিকটক এবং মেহেন্দি পরানোর কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন।
মামার আক্ষেপ, ‘‘এক বারও যদি ও নিজের অবস্থা আমাদের জানাত! তবে এমনটা কিছুতেই হতে দিতাম না।’’
সরস্বতীর মোবাইল ফোন হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। মামার দাবি, পুলিশ কললিস্ট খুঁজে দেখুক, কে ‘হুমকি’ দিত সরস্বতীকে।