পাঁচ দিনের রাঢ়বঙ্গ সফরের তৃতীয় দিনে শুক্রবার বাঁকুড়ার সোনামুখীর বিধায়কের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তী। রুপোলি পর্দার নায়ককে এ ভাবে ঘরে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি। চিরাবাটা মাছ ভাজা-সহ মুগের ডাল, পটল-বাদামের তরকারি, পালং শাকের ঘণ্ট, চিংড়ি মাছ ভাপা, দেশি মুরগির মাংস, আপেলের চাটনি খান মিঠুন। সবটাই রান্না করেছেন বিধায়কের স্ত্রী। শেষপাতে ছিল পাঁপড় আর সন্দেশ।
রাঢ়বঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বাড়িতে দুপুরে খেয়েছিলেন মিঠুন। মধ্যাহ্নভোজের পর তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘‘এই খাবারে ভালবাসা মেশানো আছে।’’ শুক্রবার দুপুরে বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের ভাটপাড়া গ্রামে স্থানীয় এক বিজেপিকর্মীর বাড়িতে আয়োজিত বৈঠকে যোগ দেন মিঠুন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তা ছাড়া স্থানীয় বিধায়ক এবং সাংসদ। বিকালে ছিল সোনামুখী ব্লকের নিত্যানন্দপুর গ্রামে বিজেপির পঞ্চায়েত স্তরের কর্মীদের একটি সম্মেলন। এই দুই কর্মসূচির মাঝে বেলা আড়াইটে নাগাদ সোনামুখী ব্লকের কুরুমপুর গ্রামে বিধায়ক দিবাকরের বাড়িতে হাজির হন মিঠুন। নায়ক-নেতাকে চোখের দেখা দেখতে লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় বিধায়কের বাড়ির উঠোন। গাড়ি থেকে নেমে জড়়ো হওয়া জনতার দিকে এক বার হাত নেড়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে মিঠুন বাড়ির উঠোন পেরিয়ে সোজা চলে যান বিধায়কের বাড়িতে।
সোনামুখীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া দামোদর নদ থেকে ধরা হয়েছিল চিরাবাটা মাছ। অতিথি মিঠুনকে সেই মাছ ভেজে পরিবেশন করেন দিবাকরের স্ত্রী প্রতিমা ঘরামি। তিনি বলেন, ‘‘সিনেমার পর্দায় দেখা মিঠুন কোনও দিন এ ভাবে আমাদের বাড়িতে এসে আমার হাতের রান্না খাবেন স্বপ্নেও ভাবিনি। আমার ভীষণ আনন্দ হচ্ছে।’’
মধ্যাহ্নভোজ সেরে বিকেলে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে বেরিয়ে যান মিঠুন।