দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট পত্রিকাকে রেল অধিদপ্তরের ডিরেক্টর দীপক কুমার ভট্টরাই বলেন, ‘আন্তঃসীমান্ত রেলওয়ে অপারেশনের জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসপিএ) চূড়ান্ত করার সময় এটি সম্মত হয়েছিল।’ উল্লেখ্য, নেপাল এবং ভারতের সীমান্ত অপরাধ এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে সম্প্রতি। এই আবহে নেপাল সরকারের তৃতীয় দেশের নাগরিকদের রেলপথ ব্যবহার করে ভারতে ঢোকার উপর নিষএধাজ্ঞা জারি ভারতের জন্য কতকটা স্বস্তির।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এর আগে গত ২২ অক্টোবর বিহারের জয়নগর থেকে নেপালের কুর্থার সাথে সংযোগকারী ৩৪.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ নেপাল সরকারের কাছে হস্তান্তর করে ভারত। দীপক কুমার ভট্টরা জানান, নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কারণে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর নির্ধারণের জন্য সময় বেশি লাগে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সীমান্তে নির্বিঘ্ন নিরাপত্তা ক্লিয়ারেন্স নিশ্চিত করতে নেপাল ট্রেনে উঠা যাত্রীদের সম্পর্কে ভারতকে অবহিত করে দেবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তৃতীয় দেশের নাগরিকদের কুর্থা-জয়নগর রেলপথ দিয়ে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হলে আন্তঃসীমান্ত অপরাধ বৃদ্ধির সম্ভাবনা সম্পর্কে ভারত সতর্ক ছিল।
জয়নগর-কুর্থা বিভাগটি ৬৮.৭ কিলোমিটারের জয়নগর-বিজলপুরা-বারদিদাস রেল সংযোগের অংশ যা তৈরি করতে ভারত সরকার ৮.৭৭ বিলিয়ন নেপালি রুপি অনুদান দিয়েছে। সাত বছরেরও বেশি সময় আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া ন্যারোগেজের বদলে এই রুটে ব্রডগেজ রেলওয়ে অপারেশনের জন্য নতুন অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। তবে কবে নাগাদ এই রুটে রেল পরিষেবা চালু হবে সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট নয়।