আজও দগদগে পুলওয়ামার রক্তাক্ত সেই স্মৃতি।এবার সেই স্মৃতি উস্কে জম্মু ও কাশ্মীরে লাওয়াপোরাতে(Lawaypora) সিআরপিএফ কনভয়ে হামলা চালাল জঙ্গিরা। এই ঘটনার জেরে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন ভারতীয় জওয়ান। শহিদ হয়েছেন দুজন সিআরপিএফ জওয়ান। গুরুতর আহত ৩ জন। আইজি বিজয়কুমার জানিয়েছেন ঘটনার নেপথ্যে লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিদের হাত থাকার খবর রয়েছে।
জানা গিয়েছে সেন্ট্রাল কাশ্মীরের শ্রীনগর-বারমুল্লা জাতীয় সড়কের উপর ৭৩ সিআরপিএফ ব্যাটালিয়ানের কনভয় লক্ষ্য় করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। ভারতীয় জাওয়ানরাও তার কড়া জবাব দিতে শুরু করে। শুরু হয় উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র গুলির লড়াই। তবে জঙ্গিদের গুলিতে মুহূর্তে রক্তাক্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় উপত্যকায়। ঘটনাস্থলে শহিদ হন এক জওয়ান। জানা গিয়েছে, সিআরপিএফ জওয়ানরা ঘটনাস্থলে ‘রোড ওপেনিং’ এর কাজে ব্যস্ত ছিল। তখনই এই মারাত্মক ঘটনা ঘটে।
সিআরপিএফের মুখপাত্র বলেছেন, “সন্ত্রাসীরা শ্রীনগরের জাতীয় সড়কের পার্শ্ববর্তী এলাকা লাওয়াপোরায় (Lawaypora) সৈন্যদের উপর আক্রমণ করেছিল। হামলায় চার সিআরপিএফ জওয়ান আহত হয়েছে এবং আহত কর্মীদের ৯২ বেস বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। দু’জন সদস্য আহত হয়ে মারা যান। যে জওয়ান শহিদ হয়েছেন, তিনি বাসিন্দা ত্রিপুরার।আরও ৩ জন জওয়ানের অপারেশন চলছে বলে জানা গিয়েছে।গোটা লায়াপোরা(Lawaypora) আপাতত কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনীতে ঘিরে ফেলা হয়েছে। গোটা এলাকায় শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।
গত সোমবার ভোর রাত থেকে সোপিয়ানের মানিহাল এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর তীব্র গুলির লড়াই শুরু হয়।দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে মারা যায় চার লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি।১৬ই মার্চ শোপিয়ানে আর একটি এনকাউন্টারে দু’জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছিল। তারপর সেনাদের উপর এই ভয়ানক আক্রমণ। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরেই এই এনকাউন্টারটি হয়েছিল।দুই দেশ নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর শান্তি বজায় রাখতে সম্মত হয়েছে, ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে উপত্যকায় চলমান সন্ত্রাস মেনে নেওয়া হবে না। সন্ত্রাস নিয়ে কোনো আপোস করবে না। ভারত এর যোগ্য জবাব দিতে সব সময় প্রস্তুত।