জঙ্গি হামলায় জম্মু ও কাশ্মীরে মৃত্যু হল ভিনরাজ্যের দুই ব্যক্তির। তাঁদের একজন হকার এবং অপরজন শ্রমিক। তার ফলে গত ১১ দিনে নয়া কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে জঙ্গি হামলায় কমপক্ষে সাত সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হল।
সূত্রের খবর, আদতে বিহারের বাসিন্দা অরবিন্দ কুমার শ্রীনগরে হকারি করতেন। শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা ৪০ মিনিট নাগাদ শ্রীনগরের ইদগাহ অঞ্চলে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। অরবিন্দকে দ্রুত শ্রীনগরের মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় গুরুতর জখম হন এক শ্রমিক। তিনি আদতে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। কিছুক্ষণ পর সাগির আহমেদ নামে ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, শ্রীনগর এবং পুলওয়ামায় যেখানে হামলা চলেছে, তা ঘিরে ফেলা হয়েছে। চলছে তল্লাশি।
শনিবার শ্রীনগরের যে এলাকায় অরবিন্দকে গুলি করে খুন করা হয়েছে, সপ্তাহখানেক আগে সেই এলাকায় দুই স্কুল শিক্ষককে হত্যা করেছিল জঙ্গিরা। গত ৭ অক্টোবর ইদগাহ এলাকায় ছেলেদের একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে মধ্যেই ছিলেন প্রধান শিক্ষক সীতন্দর কৌরি এবং শিক্ষক দীপক চাঁদ। সেই সময় তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁদের। সেই ঘটনার আগে গত সপ্তাহের মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক ঘণ্টার ব্যবধানে জম্মু ও কাশ্মীরে পরপর হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। গুলিতে মৃত্যু হয় তিন সাধারণ নাগরিকের। মৃতদের মধ্যে ছিলেন কাশ্মীরি পণ্ডিত মাখনলাল বিন্দ্রু। যিনি শ্রীনগরে বিখ্যাত ওষুধ দোকান বিন্দ্রু মেডিকেটের মালিক। এছাড়াও বীরেন্দর নামে ওই ব্যক্তি ভেলপুরি বিক্রেতা এবং মহম্মদ শাফি নামে স্থানীয় ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের সভাপতিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।