পানাগড় হিন্দিস্কুলে পাচারের আগে আটক মিড-ডে মিলের চাল, এলাকায় চাঞ্চল্য

 ছুটির দিনে পরিস্কারের নামে মিড-ডে-মিলের চাল পাচার। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। আশপাশের বাসিন্দাদের তৎপরতায় পাচারের আগেই আটক হল মিড-ডে মিলের ৫ বস্তা চাল। রবিবার এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো পানাগড় হিন্দিস্কুলে। খবর পেয়ে কাঁকসা থানার পুলিশ গিয়ে পুনরায় ওই বস্তাভর্তি চাল স্কুলে জমা করে। 

ঘটনায় জানাগেছে, রবিবার পানাগড় বাজার হিন্দি হাই স্কুল থেকে টোটোয় করে বস্তা ভর্তি চাল পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এদিন সকালে বিষয়টি নজরে পড়তে সরকারি এফসিআই- এর ছাপ দেওয়া চাল বোঝাই টোটোটি আটক করে স্থানীয় বাসিন্দা। জেরা করতেই পগারপাড় দেয় টোটো চালকের সঙ্গে থাকা স্কুলের এক অস্থায়ী কর্মী। ঘটনাকে ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। টোটোটিতে ৫ বস্তা চাল ছিল। এরপরই চাল বোঝাই টোটোটিকে আটকে রাখে উত্তেজিত জনতা। খবর দেওয়া হয় কাঁকসা থানার পুলিশে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কাঁকসা থানার পুলিশ। এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করে। খবর দেওয়া হয় স্কুলের শিক্ষকদের। 

জানাগেছে, গত ১৮ আগস্ট পানাগড় হিন্দি হাইস্কুলে ৮০ বস্তা মিড-ডে-মিলের চাল এসেছে। ওই স্কুলের মিডে-ডে মিল তদারকির জন্য একজন অস্থায়ী কর্মী রাখা হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়ন্ত পান্ডা জানান, “বিষয়টি জানা ছিল না। খবর নিয়ে জানতে পারি, পরিস্কার করার জন্য ওই চাল নিয়ে যাচ্ছিল। আগাম না জানিয়ে কেন নিয়ে যাচ্ছিল বিষয়টি তদন্ত করা হবে।”

যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, অতীতেও এভাবে চাল পাচার করা হয়েছে। তবে সেবিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়ন্তবাবু জানান, “প্রতিমাসে চালের স্টক মেলানো হয়। তাতে আতিতে কোনোরকম গরমিল পাওয়া যায়নি। তবে এবারও সিসিটিভির ফুটেজ যাচাই করা হবে। এবং চালের স্টক মেলানো হবে।” প্রশ্ন, পরিস্কার বা ঝাড়াই স্কুলের মধ্যে শ্রমিক লাগিয়ে করা হয়। রবিবার ছুটির দিনে স্কুল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে বাইরে কেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল চাল?

অন্যদিকে সুর চড়িয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রকাশ করে বিজেপি নেতা রমন শর্মা জানান, “এই ধরনের ঘটনা আজ প্রথম নয়। অতীতেও এভাবে চাল পাচার হয়েছে। রবিবার ছুটির দিন স্কুল থেকে কিভাবে বস্তাভর্তি চাল বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। পড়ুয়াদের খাবারের চাল রাজ্যের শাসক দল এভাবেই পাচার করে। এটা বড়সড় দুর্নীতি। তাই আমরা ঘটনার তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।”

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে ওই স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি কুলদীপ সিং জানান, “আমি বাইরে আছি। তবে বিষয়টি শুনেছি। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, পরিস্কার করার জন্য চালগুলি নিয়ে যাচ্ছিল। তবুও, ঘটনার তদন্ত করা হবে। তার মধ্যে যদি কোনোরকম অসঙ্গতি ধরা পড়ে, আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।” 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.