৮ বছরেরও বেশি আগে ২৩৯ জনকে নিয়ে চিরতরে হারিয়ে গিয়েছিল মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ৩৭০। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের দাবি, বোয়িং ৭৭৭ বিমানটিকে ধ্বংস করেছিলেন তাঁর চালকেরাই। ওই বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে যে নতুন প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তা পরীক্ষার পর তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রতীকী ছবি।
০২১৬
বোয়িং ৭৭৭ বিমানের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার নাম করলে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ৩৭০ প্রসঙ্গ উঠে আসে। ওই এয়ারলাইন্সের ইতিহাসেও এটি অন্যতম বড় দুর্ঘটনা বলে মনে করা হয়।
প্রতীকী ছবি।
০৩১৬
২০১৪ সালে ৮ মার্চ কুয়ালা লামপুর থেকে বেজিং বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল ফ্লাইট এমএইচ৩৭০। আকাশে ওড়ার প্রায় ৩৮ মিনিট পর সেটির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)। সে সময় বিমানটি দক্ষিণ চিন সাগরের উপর দিয়ে উড়ছিল। এর কয়েক সেকেন্ড পর বিমানটির সঙ্গে এটিসি-র যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
প্রতীকী ছবি।
০৪১৬
ঘণ্টাখানেক পর যদিও মালয়েশিয়া সেনাবাহিনীর রাডারে ধরা পড়েছিল বিমানটি। তবে সে সময় তা পরিকল্পিত পথে এগোচ্ছিল না। বরং তা পরিকল্পিত পথ থেকে পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে মালয় উপদ্বীপ এবং আন্দামান সাগর অতিক্রম করছিল বিমানটি।
প্রতীকী ছবি।
০৫১৬
সেনার রাডার ছেড়ে সরে যাওয়ার পর চিরতরে গায়েব হয়ে যায় ফ্লাইট এমএইচ৩৭০। বিমানে তখন ছিলেন ২২৭ জন যাত্রী এবং চালক মিলিয়ে ১২ জন কর্মী। তার মধ্যে ভারতের ৫ জন যাত্রীও ছিলেন।
প্রতীকী ছবি।
০৬১৬
বিমানটির খোঁজে দক্ষিণ চিন সাগর এবং আন্দামান সাগরে তল্লাশি অভিযান শুরু করে মালয়েশিয়া সরকার। তবে ফ্লাইট এমএইচ৩৭০-এর কিছু অংশ পাওয়া গেলেও বিমানটির ধ্বংসাবশেষের বেশির ভাগ মেলেনি। অসামরিক বিমান পরিবহণের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়সাপেক্ষ এই অভিযানকে কার্যত ব্যর্থই বলা চলে।
০৭১৬
উপগ্রহের মাধ্যমে বিমানের স্বয়ংক্রিয় যোগাযোগ ব্যবস্থার পরীক্ষায় ইঙ্গিত, বিমানটি হয়তো ভারত মহাসাগরের দক্ষিণে ভেঙে পড়েছিল। যদিও এই দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে যুক্তিগ্রাহ্য তত্ত্ব প্রকাশ্যে আসেনি।
প্রতীকী ছবি।
০৮১৬
৮ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে নয়া দাবি উঠছে। ২৫ দিন আগে মাদাগাস্কারের এক মৎস্যজীবীর ঘরে ওই বিমানের ১টি ল্যান্ডিং গিয়ার ডোর পাওয়া গিয়েছে দাবি করেছে ব্রিটিশ সংবাদপত্র ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট’।
প্রতীকী ছবি।
০৯১৬
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের দাবি, সাগরের জলে পড়ে যাওয়ার সময় বোয়িং ৭৭৭ বিমানটির ল্যান্ডিং গিয়ার নিচু করা ছিল। তা থেকেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা, হয়তো ইচ্ছা করেই বিমানটিতে দুর্ঘটনা ঘটানো হয়েছিল।
প্রতীকী ছবি।
১০১৬
ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ার রিচার্ড গডফ্রের মতোই ফ্লাইট এমএইচ৩৭০-এর ধ্বংসাবশেষ সন্ধানী আমেরিকার ব্লেইন গিবসনের দাবি, বিমানটিকে ইচ্ছা করে ধ্বংস করেছিলেন এর চালকেরা।
প্রতীকী ছবি।
১১১৬
বিশেষজ্ঞদের দাবি, ওই বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার ডোরটি পরীক্ষার পর সর্বপ্রথম ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, বিমানটিকে ধ্বংস করা হয়েছিল।
প্রতীকী ছবি।
১২১৬
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ২০১৭ সালে মাদাগাস্কারের উপকূলে ওই ল্যান্ডিং গিয়ার ডোরটি দেখতে পেয়েছিলেন টাটালি নামে এক মৎস্যজীবী। ‘ফার্নান্দো’ নামে উপকূলীয় ঝড়ে মাদাগাস্কারের সমুদ্র উপকূলে ভেসে এসেছিল ওই ডোরটি।
প্রতীকী ছবি।
১৩১৬
ল্যান্ডিং গিয়ার ডোরটি যে মালয়েশীয় বিমানের অংশ, তা নিয়ে কোনও ধারণাই ছিল না টাটালির। বছর পাঁচেক ধরে সেটিকে জামাকাপড় পরিষ্কার করার বোর্ড হিসাবে ব্যবহার করছিলেন মৎস্যজীবীর স্ত্রী।
প্রতীকী ছবি।
১৪১৬
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে গডফ্রে বলেছেন, ‘‘ওই ল্যান্ডিং গিয়ার ডোরটির চারপাশে ফাটল এবং তা যে মাত্রায় ক্ষতি হয়েছে, তা দেখে বোঝা যায় বিমানটিতে আর যা-ই হোক, সেটি ধীরে ধীরে সাগরে ডুবে যায়নি। বরং অত্যন্ত উচ্চগতিতে জলে গোঁত্তা খেয়েছিল বিমানটি। এবং সেটি এমন ভাবে করা হয়েছিল, যাতে বিমানটি যতটা সম্ভব টুকরো টুকরো হয়ে যায়।’’
প্রতীকী ছবি।
১৫১৬
দুর্ঘটনা নিয়ে এমন তত্ত্ব কেন দিলেন গডফ্রে এবং গিবসন? তাঁরা জানিয়েছেন, ওই ল্যান্ডিং গিয়ার ডোরে ৪টি আধা সমান্তরাল দাগ পাওয়া গিয়েছে। যা দেখে গডফ্রেদের ধারণা, দুর্ঘটনার সময় বিমানের দু’টি ইঞ্জিন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
প্রতীকী ছবি।
১৬১৬
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে বিশেষজ্ঞদের দাবি, অত্যন্ত বেশি গতির প্রভাবে বিমানটিকে যত দ্রুত সম্ভব টুকরো টুকরো করা হয়েছিল। অন্য দিকে, দুর্ঘটনার প্রমাণ লুকোনোর যে চেষ্টা করা হয়েছিল, তা ল্যান্ডিং গিয়ারটিকে পরীক্ষা করলে স্পষ্ট বোঝা যায়।