প্যারিস সঁ জঁরম থেকে আবার বার্সেলোনায় ফিরে যেতে চেয়েছিলেন লিয়োনেল মেসি। কিন্তু সম্ভব হয়নি। খেলতে গিয়েছেন ইন্টার মায়ামিতে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজেই এ কথা জানিয়েছেন এমএল টেন। আগামী বিশ্বকাপ নিয়েও নিজের পরিকল্পনা জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক।
লিয়োকে মেসি তৈরি করার পিছনে বার্সেলোনার অবদান অজানা নয় ফুটবল বিশ্বের। মেসি নিজেও নিজের ফুটবলজীবনে বার্সার অবদান কখনও অস্বীকার করেননি। বার্সেলোনার সমর্থকদের মনে মেসি যেমন এখনও অমলিন, তেমনই মেসির হৃদয়েও আলাদা জায়গা রয়েছে স্পেনের ক্লাবটির। পিএসজি থেকে তিনিও ছোটবেলার ক্লাবে ফিরতে উৎসাহী ছিলেন। কিন্তু পারেননি।
ছোটবেলার ক্লাবে ফিরতে না পারলেও আগামী বিশ্বকাপ খেলার আশা এখনও ছাড়েননি মেসি। আর্জেন্টিনার কোচ লিয়োনেল স্কালোনি এবং অন্য ফুটবলারেরাও চান, মেসি ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলুন। যদিও মেসি নিজেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। আর্জেন্টিনার প্রাক্তন ফুটবলার কিকে উলফের অনুষ্ঠান ‘সিম্পলি ফুটবল’এ মেসি বলেছেন, ‘‘এ বছরটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৬ সালে বিশ্বকাপ খেলা নির্ভর করছে এই মরসুমের উপর। সব কিছু ঠিক থাকলে ভাবব বিশ্বকাপ নিয়ে। যদিও এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। প্রতিটি দিন ধরে এগোতে চাইছি। জানি না বিশ্বকাপ খেলার মতো জায়গায় থাকব কিনা। নিজের কাছে সৎ থাকতে চাই।’’ মেসি বোঝাতে চেয়েছেন, ফিট এবং ফর্মে থাকলে তবেই বিশ্বকাপে খেলার কথা ভাববেন।
এই সাক্ষাৎকারেই বার্সেলোনায় ফেরার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন মেসি। তিনি বলেছেন, ‘‘বার্সেলোনায় ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল আমার। কারণ গোটা ফুটবলজীবন ওখানেই থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সম্ভব হয়নি।’’ মেসি আরও বলেছেন, ‘‘২০২২ সালের বিশ্বকাপের পর বার্সেলোনা ছাড়া ইউরোপের অন্য কোনও ক্লাবে খেলার ইচ্ছা ছিল না। ওখানেই ফিরতে চেয়েছিলাম বার্সেলোনা আমরা কাছে বাড়ির মতো। আমার সব কিছু শুরু বার্সেলোনাতেই।’’
তা হলে কেন ফিরলেন না? এ নিয়ে মেসি বলেছেন, ‘‘অনেকটা পারিবারিক কারণেই বার্সেলোনায় ফেরা হয়নি। বিশ্বকাপ জয়ের পর অনেক কিছু বদলে গিয়েছিল। আমেরিকায় খেলতে আসার সিদ্ধান্তটা পারিবারিক ছিল। বলতে পারেন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য মায়ামিতে এসেছি।’
২০২১ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দিয়েছিলেন মেসি। সেখানে দু’বছর কাটিয়ে যোগ গিয়েছেন ইন্টার মায়ামিতে। মূলত ক্লাবের আর্থিক অনটনের জন্য বার্সা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন লিয়ো। ২০০৪ সালে বার্সেলোনার অ্যাকাডেমিতে যোগ দিয়েছিলেন মেসি।