পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলার মূল অভিযুক্ত, ‘পলাতক’ মেহুল চোকসীকে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ দিল বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্প আদালত। সে দেশের পুলিশের হাতে ধৃত চোকসী এবং ভারত সরকারের কৌঁসুলির যুক্তি শোনার পরে বিচারক তাঁর নির্দেশ ঘোষণা করে বলেছেন, ‘‘চোকসীকে প্রত্যর্পণের জন্য ভারতের আবেদন বৈধ।’’
তবে চোকসীর আইনজীবী জানিয়েছেন, অ্যান্টওয়ার্প আদালতের ওই নির্দেশকে উচ্চতর আদালতে চ্যালেঞ্জ জানানো হবে। ফলে আপাতত গুজরাতের ওই হিরে ব্যবসায়ীকে ভারতে আনা সম্ভব নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। চোকসীর বিরুদ্ধে ১৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি দেশছাড়া। সম্প্রতি খবর পাওয়া গিয়েছিল, তিনি বেলজিয়ামে রয়েছেন। এর পরেই চোকসীকে দেশে ফেরানোর জন্য ভারত সরকারের তরফে বেলজিয়ামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। ১২ এপ্রিল বেলজিয়ামের পুলিশ একটি হাসপাতাল থেকে ৬৫ বছরের চোকসীকে গ্রেফতার করে। আদালতে পেশ করে শুরু করে প্রত্যর্পণের আইনি প্রক্রিয়া।
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা প্রতারণার মামলায় চোকসীর বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের আদালতের দু’টি জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। মেহুলকে প্রত্যর্পণের জন্য মূলত আদালতের এই পরোয়ানাকেই হাতিয়ার করা হবে। ২০১৮-য় চোকসী সস্ত্রীক দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। গত সাত বছর ধরে পলাতক হিরে ব্যবসায়ীর মুম্বইয়ের একটি আবাসনের ফ্ল্যাটের দেখভালের প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকা খরচ বাকি পড়ে রয়েছে। মুম্বইয়ের মালাবার হিল এলাকায় ওই আবাসনে নবম, দশম এবং একাদশ তল মিলিয়ে তিনটি ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর নামে। এর আগে মেহুল ডমিনিকান রিপাবলিকে ধরা পড়ার পরে ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে তাঁকে অপহরণ করে ভারতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল। পাশাপাশি, গুজরাটি এই ব্যবসায়ী এখনও অ্যান্টিগার নাগরিকত্ব নিয়ে রেখেছেন। উচ্চ আদালতে এই দুই যুক্তিতে চোকসীর আইনজীবীরা প্রত্যর্পণ ঠেকানোর চেষ্টা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।