‘টোয়ার্কিং’ (Twerking), এই শব্দের সঙ্গে আর নতুন প্রজন্মের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। মধ্য আফ্রিকার বান্টু -ভাষী আফ্রিকানদের থেকে উদ্ভূত হলেও, নিতম্ব ঝাঁকিয়ে যৌন উত্তেজক নাচের এই ফর্ম এখন খুবই জনপ্রিয়। এবার প্য়ারিস অলিম্পিক্সে (Paris Olympics 2024) পদক জিতে টোয়ার্কিং করে নজর কেড়েছেন কানাডিয়ান পোল ভল্টার অ্যালিশা নিউম্য়ান (Alysha Newman)। ৫ ফুট ৯ ইঞ্চির অ্যাথলিট কিন্তু প্য়ারিসে জিতেছেন ব্রোঞ্জ পদকও।
অ্যালিশাকে নিয়ে বিস্তর চর্চা চলছে। একেতে অলিম্পিক্স পদকজীয়, তারউপর ট্র্য়াকে টোয়ার্কিং! যা নিয়ে অ্যালিশা বলেন, ‘দেখুন আমি টোয়ার্কিং করব ভেবে করিনি। হয়ে গিয়েছে বলতে পারেন।’ ওন্টারিয়োর বাসিন্দার এহেন আচরণ নিয়ে বিস্তর সমালোচনাও হয়েছে। যা শুনে তিনি বলেন, ‘দেখুন আমার পরিবার, বন্ধুবান্ধব, কোচ এবং আমার এজেন্টরাই নিজেদের লোক। তাঁরা কিছু বললে আমি ব্য়ক্তিগত ভাবে নিতাম। যাঁদের আমি চিনি না, তাঁদের কথায় কর্ণপাতও করি না। আমি অত্য়ন্ত শক্তিশালী মানসিকতার মানুষ। আগে তারা আমার পায়ে জুতো গলাক, তারপর না হয় বুঝবে আমার কাঁধে কী দায়িত্ব রয়েছে!’
‘অনলিফ্যানস’-এও বেশ পরিচিত মুখ অ্যালিশা। এখন প্রশ্ন কী এই ‘অনলিফ্যানস’? অনলি ফ্যানস হচ্ছে লন্ডনের ইন্টারনেট কনটেন্ট সাবস্ক্রিপশন সার্ভিস। যেখানে টাকা খরচ করেই সাবস্ক্রাইবারদের পছন্দের কনটেন্ট ক্রিয়েটরকে দেখতে হয়। খোলামেলা অ্যালিশাকে দেখার জন্য় সাবস্ক্রাইবার্সদের খরচ মাসে ১০ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৮৩৯ টাকা ৫১ পয়সা। অ্যালিশা বলেই নয়, বহু ক্রীড়াবিদই অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের তাগিদে অনলি ফ্যানস বেছে নিয়েছেন। অ্যালিশাও জানাচ্ছেন যে, তিনিও অতিরিক্ত টাকা উপার্জনের জন্য় বিনোদন দিয়ে থাকেন। আর পোল ভল্টের পাশাপাশি এই কাজও তিনি করবেন।
২০১৮ সালে গোল্ড কোস্টে আয়োজিত কমনওয়েলথ গেমসে. অ্যালিশা পোল ভল্টে দেশকে এনে দিয়েছিলেন সোনা। তবে অ্যালিসার জন্য আলাদা করে গলা ফাটাবেন তাঁর ২১ হাজার ‘বিশেষ ভক্ত’। অ্যালিসার লুকস ও সাড়া ফেলা শরীরী আবেদনই তাঁকে বিগত তিন বছরে করেছে আলাদা। এই ‘বোম্বশেল’ অ্যাথলিটের নিষিদ্ধ হাতছানি উপেক্ষা করতে পারেন না তাঁর অনুগামীরা। অ্যালিসার পোশাক-আশাক থেকে যৌন জীবনযাপনে কোনও ছুৎমার্গই নেই।ইনস্টাগ্রামে বিকিনি পরেও ঝড় তোলেন তিনি। অন্তর্বাস প্রস্তুতকারক সংস্থার হয়েও বিজ্ঞাপন করেন চুটিয়ে। অ্যালিসা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ভেঙে নতুন কিছু গড়তেই তাঁর ভাল লাগে। তিনি কোনও সীমানার মধ্যে নিজেকে বেঁধে রাখতে চান না।