medicines, paracetamol, প্যারাসিটামল সহ ৫২টি ওষুধ নিম্নমানের, সতর্ক করল কেন্দ্রীয় সংস্থা

সামান্য কিছু হলেই অনেকেই মুঠো মুঠো ওষুধ খাচ্ছেন। গা হাত পা ব্যথা, হালকা গা গরম, অল্প কিছুতেই অ্যান্টিবায়োটি বা নিদেন পক্ষে প্যারাসিটামল খাওয়া অভ্যাস করে ফেলেছে। এবার তারা সাবধান হন। প্যারাসিটামল সহ কমপক্ষে ৫২টি ওষুধ নিয়ে সংশয় দেখা গেছে।

কেন্দ্রীয় সংস্থার পরীক্ষায় ফেল করেছে ওষুধগুলি। অথচ অনেকগুলি ছোট বড় রোগভোগে নিত্য প্রয়োজন পড়ে এই ওষুধের।সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন ওষুধের নমুনা পরীক্ষা করে, সেখানে হতাশা জনক ফল মিলেছে ৫২টি ওষুধের ক্ষেত্রে। এর মধ্যে রয়েছে প্যারাসিটামলও।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ওই ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানি বা ওষুধের সংস্থাগুলোকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে। কিন্তু মান নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সবচেয়ে সমস্যা হলো বাজারে ছড়িয়ে থাকা ওষুধ। নিম্নমানের ওষুধ বাজার থেকে তুলে নেওয়ার বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নিম্নমানের ওষুধের তালিকায় রয়েছে খিঁচুনি ও উদ্বেগ জনিত রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ। ক্লোনাজেপাম ট্যাবলেট, অ্যান্টি হাইপারটেনশন ড্রাগ টেলমিসার্টেন সহ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত বেশ কিছু অ্যান্টিবায়োটিক, কিছু মাল্টি ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট। ব্যাথা কমানোর ডিকলোফেনাট ক্যাপসুলও রয়েছে তালিকায়। রয়েছে কাশির সিরাপ অ্যমব্রক্সেল।

সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন সূত্রে জানা গেছে, ৫২ টির মধ্যে ২২টি ওষুধ তৈরি হতো হিমাচলপ্রদেশে। এ ছাড়া জয়পুর, হায়দ্রাবাদ, ভদোদরা, ইন্দোর থেকেও বেশ কিছু নিম্নমানের ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

উল্লেখ্য, এর আগেও হিমাচলে তৈরি ১২০ ওষুধকে নিম্নমানের বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। আবারো সেই রাজ্যে এই বিষয়ে নোটিশ জারি করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.