মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র সংসদ গড়তে পড়ুয়াদের ‘বাছাই করা’ ২১ জন প্রতিনিধিকে মান্যতা দিলেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যদিও ওই প্রতিনিধিদের ‘নির্বাচিত’ বলতে নারাজ তাঁরা। বরং তাঁদের ‘মনোনীত’ প্রতিনিধি হিসাবে আখ্যা দিয়েছেন। যদিও মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের এই স্বীকৃতিকে জয় হিসাবেই দেখছেন ছাত্র সংসদের ওই প্রতিনিধি তথা ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ।
মেডিক্যালের ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরেই অনশন আন্দোলন থেকে শুরু করে, রাজপথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন পড়ুয়ারা। এমনকি, ২২ ডিসেম্বর তাঁরা নিজেরাই ছাত্র সংসদের নির্বাচন করেন। ওই নির্বাচনে প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছিল। তাতে জয়ী ২১ জনকে নিজেদের প্রতিনিধি হিসাবে মেনে নেন পড়ুয়ারা। বুধবার মেডিক্যাল কলেজের কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, ওই ২১ জনকে নিয়ে ছাত্র পরিষদ গঠন করা হবে। এর পর শুক্রবার মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, যে ২১ জনকে পড়ুয়ারা তাঁদের প্রতিনিধি হিসাবে মনোনীত করেছেন, তাঁদের মান্যতা দেওয়া হল। এ নিয়ে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘হাসপাতালের কাজকর্ম, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠন যাতে সুষ্ঠু ভাবে চলে, সে জন্য পড়ুয়াদের বাছাই করা ২১ জন প্রতিনিধিকে মান্যতা দেওয়া হল।’’ যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, মেডিক্যালের ছাত্র সংসদের নির্বাচন করাতে গেলে যে নিয়ম (এসওপি) মেনে হওয়া উচিত, এ ক্ষেত্রে তা হয়নি। ফলে ওই পড়ুয়াদের নির্বাচিত (ইলেক্টেড) বলতে নারাজ মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। তার বদলে ওই ২১ জনকে বাছাই (সিলেক্টেড) প্রতিনিধি বলছেন তাঁরা।
কর্তৃপক্ষের এই স্বীকৃতিকে অবশ্য তাঁদের জয় বলেই মনে করছেন পড়়ুয়ারা। চতুর্থ বর্ষের ছাত্র তথা ভোটে জয়ী সাবিপ হুসেন বলেন, ‘‘মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ভোট করাননি। আমরা নির্বাচন করিয়েছিলাম। তাঁদেরই মান্যতা দিলেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। একে আমরা জয় হিসাবেই দেখছি।’’