বাংলা থিয়েটার জগতে নক্ষত্র পতন, প্রয়াত নাট্যব্যক্তিত্ব মায়া ঘোষ। শনিবার সন্ধ্যায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।
দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্য জনিত নানান অসুখে ভুগছিলেন প্রবীন অভিনেত্রী। এ দিন আচমকা তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এরপরই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সন্ধ্যে ৭ টা ৪৫ নাগাদ শ্রীরামপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
প্রথমে পাড়ার থিয়েটার এরপর মঞ্চাভিনয় শুরু করেন মায়া ঘোষ। উৎপল দত্ত প্রতিষ্ঠিত ‘পিপলস লিটল থিয়েটার’-এর সদস্য হিসাবে তাঁর প্রথম মঞ্চে হাতেখড়ি হয়। তবে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নাটকে হাত পাকিয়েছেন তিনি। অজিতেশ নান্দীকার গঠনের পর দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠেন মায়া।
অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রযোজিত ‘সাঁওতালি বিদ্রোহ’, পিরানদেল্লোর নাটক, চাকভাঙা মধু এবং মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের ‘রাজরক্ত’র মতো একাধিক জনপ্রিয় নাটকে মঞ্চে অভিনয় করেছেন মায়া দেবী। ‘বেলা অবেলার গল্প’ (১৯৮৭ সাল) নাটকে অভিনয় করে পশ্চিমবঙ্গ নাট্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। নান্দীকার থেকে বেরিয়ে আসার পর একাধিক থিয়েটার ওয়ার্কশপে কাজ করেছেন।
অ্যাকাডেমি চত্বরে রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ মায়া ঘোষের মরদেহ নিয়ে আসা হবে। সেখানেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো যাবে। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলা নাট্যজগত।