ঠাকুরনগরে পুণ্যস্নানের আবেগে ভাসলেন মতুয়া ভক্তরা

মতুয়া ধর্মগুরু হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১২তম আবির্ভাব তিথি উপলক্ষ্যে রবিবার সকাল ৮,৪৫ থেকে উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে শুরু হয়েছে পুণ্যস্নান। এর মধ্যে দিয়ে গাইঘাটার ঠাকুরনগরে মতুয়াদের ঠাকুরবাড়িতে শুরু হচ্ছে ‘মতুয়া ধর্ম মহামেলা’। চলবে সাত দিন। এদিন মতুয়া ভক্তরা ঠাকুরবাড়িতে ভিড় করেছেন। হাতে ডঙ্কা-কাঁসি-শিঙা। কারও হাতে মতুয়াদের সাদা-লাল নিশান। মুখে হরিবোল। স্নান সেরে হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দির দেখতে আসছেন সকলে।

গত তিন বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে ঠাকুরবাড়িতে ভক্তদের সমাগম অনেক কম হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এ বার পুণ্যার্থীর সংখ্যা ৫০ লক্ষ ছাড়াবে বলে মনে করছে মেলা কমিটি। ‘অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের’ সঙ্ঘাধিপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, “আশা করছি এ বার ধর্ম মহামেলা উপলক্ষে প্রায় ৪০ লক্ষ ভক্ত আসবেন পুণ্যস্নান করতে। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী মতুয়া ভক্ত, পাগল, গোসাঁই, দলপতিদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।”

প্রতি বছর মতুয়াদের আরাধ্য হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি মধুকৃষ্ণ ত্রয়োদশীতে ঠাকুরনগরে মতুয়া ধর্ম মহামেলার আয়োজন করা হয়। দেশ-বিদেশ থেকে ভক্তরা আসেন। কামনাসাগরে ‘পুণ্যস্নান’ সারেন তাঁরা। ভক্তদের বিশ্বাস, ওই বিশেষ তিথিতে কামনাসাগরে ডুব দিলে পুণ্যলাভ হয়। রোগমুক্তি ঘটে। স্নানের পর ভক্তরা হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে পুজো দেন। অতীতে বাংলাদেশের ওরাকান্দিতে ওই ধর্ম মহামেলা শুরু হয়েছিল। ১৯৪৮ সাল থেকে ঠাকুরনগরে মেলা হচ্ছে। ধর্ম মহামেলা উপলক্ষে মতুয়া ভক্তদের জন্য রেল মন্ত্রক বেশ কিছু বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে।

শান্তনু ঠাকুর বলেন, “৮ জোড়া এক্সপ্রেস ট্রেন এবং ১৬ জোড়া লোকাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে মতুয়া ভক্তদের জন্য। উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, অসম, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড ও এ রাজ্যের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি থেকেও ভক্তরা এসেছেন এই মেলাতে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.