অঙ্ক কী কঠিন! মাধ্যমিকে দু’টি প্রশ্ন ঘিরে বিভ্রান্তি, পদ্ধতি ঠিক থাকলেই নম্বর দেওয়ার পথে পর্ষদ

অঙ্ক খুব কঠিন! এ বারের মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষায় দু’টি প্রশ্ন কঠিন হওয়ার অভিযোগ উঠেছে! প্রশ্নপত্রে পাঁচ নম্বর ছেড়ে আসতে হয়েছে অনেক পরীক্ষার্থীকে। সেই আবহে এ বার রাজ্যের সব পরীক্ষককে ছাত্রছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে উত্তরপত্র মূল্যায়নের নির্দেশ দিল পর্ষদ। সঙ্গে আশ্বাসের সুরে জানানো হল, সঠিক পদ্ধতি মেনে অঙ্ক কষলেই ওই দু’টি প্রশ্নে মিলবে পুরো নম্বর।

এ বারের মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্রে উত্তরবঙ্গের প্রশ্নপত্রের সেটে প্রশ্ন নম্বর ৩(৬), বর্ধমানের প্রশ্নপত্রের সেটে ৩(৩), মেদিনীপুরের সেটে ৩(৪) এবং কলকাতার প্রশ্নপত্রের সেটে ৩(১) নম্বর প্রশ্নটি ঘিরে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। সঙ্গে নম্বর ১৫(২) নম্বর প্রশ্নটিকে ঘিরেও অভিযোগ তুলেছে একাধিক ছাত্রছাত্রী। অভিযোগ, ওই দু’টি প্রশ্নে ‘ভুল’ রয়েছে। অনেকে আবার প্রশ্ন দু’টি সিলেবাস-বহির্ভূত বলেও দাবি করেছে। এর পরেই বিবৃতি দিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানিয়ে দেয়, বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞেরা মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র যাচাই করে দেখেছেন, ওই দু’টি প্রশ্নে কোনও ভুল নেই। প্রশ্ন দু’টি সিলেবাস-বহির্ভূতও নয়।

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সেই বিজ্ঞপ্তি।

তবে ছাত্রছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে কেবলমাত্র ওই দু’টি প্রশ্নের উত্তর মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি খানিক শিথিল করেছে পর্ষদ। রাজ্যের সব পরীক্ষককে নির্দেশ দিয়ে জানানো হয়েছে, ওই দু’টি প্রশ্নে কোনও পড়ুয়া যদি সঠিক পদ্ধতি মেনে অঙ্ক কষে থাকে তবে তাকে নম্বর দিতে হবে। মডেল উত্তরপত্রের সঙ্গেই পরীক্ষকদের এ সংক্রান্ত নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পর্ষদ। সঙ্গে জানানো হয়েছে, বিশেষজ্ঞদের মতামতের ওপর ভিত্তি করেই এই সিদ্ধান্ত।

যদিও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষকদের দাবি, এ বারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় অঙ্কের প্রশ্নপত্রে পাঁচ নয়, বরং মোট ১১ নম্বরের ভুল কিংবা সিলেবাস-বহির্ভূত প্রশ্ন রয়েছে। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘এমনকি, সরাসরি পাঠ্যপুস্তক থেকে হুবহু টুকে দেওয়া অঙ্কেও ভুল রয়েছে! এমনই বিশেষজ্ঞ যে দেখে দেখে টুকতেও পারেন না! এই অযোগ্যতা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের।’’ স্বপনদের দাবি, অবিলম্বে সব পরীক্ষার্থীকে এই ১১ নম্বর দিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করুক মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

শনিবার মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষা ছিল। সব মিলিয়ে সে দিনেও ঘটনার ঘনঘটা ছিল রাজ্যের বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রে। উত্তর দিনাজপুরের একটি স্কুলে পরীক্ষা চলাকালীন খাতা ছিঁড়ে ফেলে এক পরীক্ষার্থী। এর পরেই তার পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া, তিন পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল পাওয়া যায়। তাদেরও পরীক্ষা বাতিল হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.