পঞ্জশির পুরোপুরি তাদের কব্জায় চলে এসেছে বলে দাবি করল তালিবান। যদিও তালিবানের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে আহমদ মাসুদের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফোর্স। তবে রক্তক্ষয় ঠেকাতে যুদ্ধবিরতির ডাক দিয়েছে পঞ্জশির প্রতিরোধ বাহিনী। সূত্রের খবর, তালিবানের সঙ্গে যুদ্ধে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে প্রতিরোধ বাহিনীর দুই শীর্ষ নেতার। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আহমেদ মাসুদের আত্মীয়-ও। নিহত হয়েছেন বিদ্রোহীদের মুখপাত্র ফহিম দশ্তিও।
এদিকে বিদ্রোহীদের দাবি, বিভিন্ন জেলা থেকে ‘বিদেশি’ জঙ্গিদের আটক করেছে তারা। শুধু তাই নয়, সরাসরি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আঙুল তুলে বিদ্রোহীদের তরফে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানের দূতাবাস থেকে পাকিস্তান সরাসরি তালিবানকে নির্দেশ পাঠাচ্ছে। পঞ্জশিরের যুদ্ধেও আইএসআই এবং পাকিস্তানি বাহিনী সরাসরি যুক্ত বলেও দাবি করা হয়েছে বিদ্রোহীদের তরফে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
আফগান ধর্মগুরুদের প্রস্তাবকে সমর্থন করে আহমদ মাসুদ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা নিষ্পত্তির আবেদন জানিয়েছেন। মাসুদ একটি ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘যদি তালিবান তাদের হামলা বন্ধ করে দেয় তাহলে আফগানিস্তানের ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট, যার মধ্যে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং স্থানীয় প্রতিরোধ বাহিনী রয়েছে, তারা যুদ্ধ বন্ধ করতে প্রস্তুত থাকবে।’
বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হচ্ছে তালিবান দ্রুত পঞ্জশিরের বিভিন্ন প্রদেশ দখল করছে। পঞ্জশির প্রদেশের রাজধানী বাজরাকে নাকি এখনও লড়াই চলছে। সেখানের বিমানবন্দর নিজেদের কব্জায় নিয়েছে বলে দাবি করে তালিবান। তবে আফগান রাজধানী কাবুলের উত্তরের এই প্রদেশের তালিবানের বিরুদ্ধে যেভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে তা বিশেষ উল্লেখযোগ্য। গত ১৫ অগস্ট কাবুল দখল করে তালিবান। তারপর থেকে এই পঞ্জশির এবং পার্শ্ববর্তী আন্দারাব ছাড়া আফগানিস্তানের বাকি প্রদেশগুলি গিয়েছে তালিবানি দখলে।