১১ জোড়া যুবক যুবতীর গণবিবাহ দিল আম্মা জনসেবা পরিষদীয় ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন। সংগঠনের কর্মকর্তা প্রবীর মাইতি বলেন, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, ওড়িষার তিন জোড়া, ঝাড়খন্ডের তিন জোড়া, দুই জোড়া মুসলিম এবং জঙ্গলমহলের তিন জোড়া যুবক যুবতীর বিয়ের আসর বসানো হয় একদা মাওবাদীদের আঁতুড় ঘর শালবনীর কলসিভাঙার পাথরী এলাকায়।
এই কর্মসূচির অন্য এক সহযোগী সংগঠন ত্রিবেণী সংঘের কর্মকর্তা সনাতন দাস বলেন, এপর্যন্ত তিনি প্রায় ১৬ শো জোড়া যুবক যুবতীর বিয়ের আসর সেরে ফেলেছেন। তাঁর একটাই লক্ষ্য পিছিয়ে পড়া জনজাতিদের মধ্যে বাল্যবিবাহ বন্ধ করা এবং অর্থাভাবে ভিন রাজ্যে বিবাহ বা নারী পাচার রোধ করা। আর এই লক্ষ্যেই এদিনের গণবিবাহের আসর। যথারীতি নীতি মেনে সোমবার শাস্ত্রমতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় ১১ জোড়া যুবক যুবতী। শুধু তাই নয় এই গণবিবাহকে সামনে রেখে আয়োজন করা হয়েছিল ভুরি ভোজের। যেখানে পাত পেড়ে খেয়েছেন প্রায় ৫ হাজারেরও বেশী মানুষ। পাশাপাশি বিয়ের আসরে আয়োজন করা হয়েছিল সঙ্গীতানুষ্ঠানের।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা নিজেদের সামর্থ অনুযায়ী নব দম্পতিকে বিভিন্ন উপহার দিয়ে আশীর্বাদও করলেন। এর আগে কখনও জঙ্গলমহলে এত বড় গণবিবাহের আসর বসেনি। বিয়ের এই আয়োজন দেখে রীতিমত হতবাক জঙ্গলমহলবাসী।