রুশ দখলমুক্ত অঞ্চলে ফের গণকবরের সন্ধান পেল ইউক্রেন সেনা। খারকিভের অদূরে ইজিয়ুম শহরে মেলা ওই গণকবর থেকে বৃহস্পতিবার ৪৪০টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। খারকিভ প্রশাসন সূত্রের খবর, নিহতেরা সকলেই অসামরিক নাগরিক। খারকিভ অঞ্চলের পুলিশ আধিকারিক সেরহি বোলভিনভ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘কী ভাবে ইজিয়ুমের ওই নাগরিকদের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আমরা এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছি।’’
ইউক্রেন সেনার প্রত্যাঘাতে গত সপ্তাহে খারকিভ প্রদেশের ইজিয়ুম শহর হারিয়েছিল রাশিয়া। এর পর খারকিভের ৯০ কিলোমিটার পূর্বে রুশ সীমান্তবর্তী শহর বারলুক হাতছাড়া হওয়া ভ্লাদিমির পুতিন বাহিনীর কাছে ‘বড় ধাক্কা’ বলে মনে করা হচ্ছে। তার আগে দক্ষিণের খেরসন প্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকাও রুশ দখলমুক্ত করেছে ইউক্রেন বাহিনী। সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোমবার বলেছিলেন, ‘‘রুশ সেনার দখল থেকে ইতিমধ্যেই আমাদের দেশের ৬,০০০ বর্গকিলোমিটার অঞ্চল মুক্ত করেছিল আমরা।’’ ইউক্রেন সেনার পুনর্দখল করা অঞ্চলে আরও গণকবর থাকতে পারে বলে মনে করছে ইউক্রেন সরকার।
রুশ প্রেসিডেন্ট ঘনিষ্ঠ ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সেনা আধিকারিক আলেকজান্ডার দর্নিকভের হাতে বেশ কয়েক মাস পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনে সেনা অভিযানের দায়িত্ব ছিল। ‘সিরিয়ার কসাই’ নামে পরিচিত এই রুশ জেনারেলের বিরুদ্ধে অতীতেও গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে প্রাথমিক ভাবে ইজিয়ুম শহরে গণহত্যার কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমের একাংশ জানাচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দু’পক্ষের গোলাগুলির মাঝে পড়েই ওই আসমামরিক নাগরিকদের মৃত্যু হয়েছে।
গত এপ্রিলে রুশ সেনাকে হারিয়ে বুচা শহর পুনর্দখলের পরে সেখান থেকে একাধিক গণকবর উদ্ধার করেছিল ইউক্রেন ফৌজ। নিহতদের অনেকেরই হাত ছিল বাঁধা। দেহে অত্যাচারের চিহ্ন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদেমির জেলেনস্কি সে সময় মস্কোর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলেছিলেন। এর পর রাজধানী কিভ থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরের ছোট্ট শহর বোরোডিয়াঙ্কা এবং উত্তর-পূর্বের চেরনিহিভেও মেলে গণকবর। রুশ সেনা গণহত্যা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করে জেলেনস্কি সরকার।